বাড়িতে ফিরে ছেলে দেখে, চৌকিতে পড়ে মায়ের নিথর দেহ, বাবা ঝুলছে কড়িকাঠে
কী কারণে ওই দুজনের মৃত্যু তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। দেহ দুটিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।
নিজস্ব প্রতিবেদন: লকডাউনের দুপুরে স্বামী-স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো নবদ্বীপের ভট্টপাড়ায়। একমাত্র ছেলেকে নিয়ে ভাড়াবাড়িতে থাকতেন বছর উনপঞ্চাশের সুভাষ ঘোষ এবং স্বপ্না ঘোষ। কিন্তু লকডাউনের দুপুরে স্বামী-স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
প্রায় চার বছর এই বাড়িতে ভাড়া আছেন। কোনওদিন কোন সমস্যা চোখে পড়েনি বাড়িওয়ালা থেকে প্রতিবেশীদের। কিন্তু বুধবার দুপুরে ছেলে বাড়ি ফিরে এলে দেখতে পায়, চৌকির ওপর তার মায়ের নিথর দেহ পড়ে আছে। আর বাবা ওই ঘরেই কড়ি বর্গায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে।
আরও পড়ুন: কঙ্কালের সঙ্গে 'সহ-বাস'! বাড়ির ভিতর উদ্ধার একাধিক খুলি, হাড়গোড়, শিলিগুড়িতে হাড়হিম করা ঘটনা
ছেলে সুব্রত এবার উচ্চমাধ্যমিক পাস করেছে। এই পরিবারটি পাড়ায় কারোর সঙ্গে সেইভাবে মেলামেশা করত না। ছেলে বলে, "বাবা একটু মানসিক রোগী ছিল। মাঝে মধ্যে কাজ থেকে বাড়ি চলে আসত। আজ সকালে অস্বাভবিক কিছু চোখে পড়েনি। বাড়ি থেকে কিছু সময়ের জন্য বেরিয়ে ছিলাম। প্রয়োজনে মাকে ফোন করি। কিন্তু মায়ের ফোনের সুইচ অফ ছিল। বাড়ির পাশের এক বন্ধুকে ফোন করে সেই ফোনে মায়ের সঙ্গে কথা বলি এবং মাকে বলি ফোনের সুইচ অফ করে রেখো না। বাড়ি ফিরে এসে দেখি এই অবস্থা।"
পুলিসের প্রাথমিক অনুমান স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন স্বামী। তবে ঘরের কোন জিনিসই লণ্ডভণ্ড ছিল না। কী কারণে ওই দুজনের মৃত্যু তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। দেহ দুটিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।