নিজস্ব প্রতিবেদন: উপরাষ্ট্রপতি হতে চাননি, প্রধানমন্ত্রী পদেও যোগ্য নন, তাহলে দক্ষিণের জনপ্রিয় এই রাজনৈতিক ব্যক্তির স্বপ্ন কী ছিল? গতকাল তাঁর ‘লিসেনিং, লার্নিং অ্যান্ড লিডিং’ নামে একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে মনের কথা বলে ফেললেন উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নায়ডু। রবিবার ওই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আজকে সবার সামনে একটা সত্যি কথা বলতে চাই। আমি কখনই উপরাষ্ট্রপতি হতে চাইনি।”


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তাঁর কিছু আক্ষেপও প্রকাশ করেন। তাঁর কথায়, যখনই জানতে পারলেন তাঁকে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করা হয়েছে, তাঁর চোখে জল চলে আসে। কারণ, সে সময় তাঁর মনে হয়েছিল, আর বিজেপির সদর দফতরে যেতে পারবেন না। সাধারণ কর্মী হিসাবে কাজ করতে পারবেন না। এ দিন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছেও অবসর নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। মরণোত্তর ভারতরত্নে সম্মানিত নানাজি দেশমুখের দেখানো পথে কাজ করতে চান বলে ভেঙ্কাইয়া নায়ডু প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন।


আরও পড়ুন- বিজেপিতে যোগ দিলেন সোনাজয়ী কুস্তিগীর ববিতা 'দঙ্গল' ফোগাট


দলের সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকে খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহই তাঁর নাম উপরাষ্ট্রপতির জন্য প্রস্তাব করেছিলেন। ভেঙ্কাইয়া নায়ডুর কথায়, “খুব ছোটোবেলা থেকে দলের হয়ে কাজ করছি। অনেক কিছু পেয়েছি শুধু প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়া।” ভেঙ্কাইয়া স্পষ্ট করে জানিয়েও দেন, ওই পদের জন্য তিনি যোগ্য নন। তাঁর দক্ষতা ও ক্ষমতা সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। উল্লেখ্য, ভেঙ্কাইয়া নায়ডু ২০০২ সালে বিজেপি সভাপতি, ২০০০ সালে অটলবিহারি বাজপেয়ীর আমলে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী হন। এরপর নরেন্দ্র মোদীর জমানায় তাঁকে সংসদীয় বিষয়ক, তথ্য ও সম্প্রচার এবং নগরোন্নয়ন মন্ত্রক সামলাতে দেখা গিয়েছে।