নিজস্ব প্রতিবেদন: দু’দিনের সফরে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি ভারতে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ভারতের মাটিতে পা দেওয়ার আগেই একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে কোনও বাণিজ্যিক চুক্তিতে যাবে না ওয়াশিংটন। গোঁসা যতই থাক, তাঁর মন গলাতে কোনও ত্রুটি রাখছে না ভারত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এয়ার ফোর্স ওয়ান যখন ছোঁবে, তখন সব ছবির মতো প্রস্তুত হয়ে যাবে গোটা শহর। বিমানবন্দর থেকে মতেরা স্টেডিয়াম পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার রাস্তার দু’ধারের পাঁচিলে ইংরেজিতে লেখা থাকছে, বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের সঙ্গে সাক্ষাত্ হতে চলেছে বিশ্বের প্রাচীন গণতন্ত্রের। এই রাস্তা দিয়েই রোডশো করবেন মোদী এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিরোধীদের কটাক্ষ, গণতন্ত্রে আসল নমুনা দেখা মিলবে পাঁচিলের অপর প্রান্তেই।



যে পথ দিয়ে ট্রাম্প-মোদী রোডশো করবেন, সেই পথের দু’ধারে ৪ ফুট উঁচু পাঁচিল বানিয়েছে আমেদাবাদ কর্পোরেশন। বিরোধীদের অভিযোগ, রাস্তার দু’ধারে বস্তি এড়াতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। তবে, এই অভিযোগ অস্বীকার করে মিউনিসিপ্যাল কমিশনার বিজয় নেহরা জানান, দু’মাস আগের থেকে দেওয়াল বানানোর কাজ শুরু হয়েছে। ফুটপাথ এবং রাস্তা ক্ষত রুখতেই তৈরি হয়েছে এই দেওয়াল। তাঁর দাবি, ওই বস্তিতে এক লক্ষের বেশি ঘর তৈরি করে দিচ্ছে পুরসভাই।



আরও পড়ুন- রামমন্দির নির্মাণ কমিটির মাথায় মোদীর প্রাক্তন প্রধান সচিব নৃপেন্দ্র মিশ্র


উত্তর প্রদেশেও একই খণ্ডচিত্র ফুটে উঠেছে। সাজো সাজো রব তাজমহল। মার্কিন যুক্তরাষ্টের এক প্রতিনিধি এসে নিরাপত্তা দল খতিয়ে দেখে গিয়েছে। পর্যবেক্ষণে এসেছিলেন খোদ উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এমনকি যুমনায় রাতারাতি দূষণ দূর করতে নতুন করে জল ছাড়া হয়েছে। দিল্লি, উত্তর প্রদেশের লাইফলাইন যুমনায় ৫০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। উত্তর প্রদেশের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সহ-ইঞ্জিনিয়ার অরবিন্দ কুমার জানাচ্ছে, যমুনায় দুর্গন্ধ রোধ করতেই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে। আগ্রা বিমানবন্দর, তাজ মহলকে নতুন ভাবে সাজানো হয়েছে। ১৩ কিলোমিটার যাত্রাপথে প্রায় ৩ হাজার শিল্পী মার্কিন প্রেসিডেন্টকে অভ্যর্থনা জানাবেন। প্রেসিডেন্টের গোঁসা ভাঙাতেই এত আয়োজন, কটাক্ষ বিরোধীদের।