নিজস্ব প্রতিবেদন: ক্রিপ্টোকারেন্সি-তে লগ্নি বা লেনদেনে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের প্রস্তাব আনল কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। "ক্রিপ্টোকারেন্সি নিষিদ্ধ এবং সরকারি ডিজিটাল মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ বিল ২০১৯"- খসড়ার মাধ্যমে ক্রিপ্টোকারেন্সি-তে অর্থ সঞ্চয়, লেনদেন, হাতবদল এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি তৈরি এবং বিক্রয়তে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চায় কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। বিলের খসড়ায় ক্রিপ্টোকারেন্সিকে সম্পূর্ণ বেআইনি বলে উল্লেখ করা হয় এবং এর ব্যবহারে প্রায় ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের সুপারিশ করা হয়েছে। বেশ কিছু দিন ধরেই ক্রিপ্টোকারেন্সির নিষিদ্ধকরণের জন্য একটি বিলের খসড়া তৈরীর উপর কাজ করছিল কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় আর্থিক বিষয়ক শাখার সচিব সুভাষচন্দ্র গর্গের নেতৃ্ত্বে এই বানানো হয় এই বিলের খসড়া। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বার বার কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে। এছাড়াও ক্রিপ্টোকারেন্সি-তে টাকা লেনদেনের মাধ্যমে পরোক্ষ কর এবং শুল্ক বিভাগের নজরদারিও এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব। সেই সব কারণেই ক্রিপ্টোকারেন্সি নিষিদ্ধ করতে উদ্যোগী হয় অর্থ মন্ত্রক। 


আরও পড়ুন: সিঙ্গুর আন্দোলনে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্যের শিল্প সম্ভাবনা, বিলম্বিত বোধোদয় মুকুলের 
গত বছর জুলাইয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ভারতে নিষিদ্ধ হয়ে যায় বিটকয়েন-সহ সমস্ত ক্রিপ্টোকারেন্সি। ২০১৮-এর এপ্রিলে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির উপর একটি নির্দেশিকা জারি করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। তাতে বলা হয়, তিন মাস পর ব্যাঙ্কগুলি আর কোনও ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেটে টাকা পাঠাতে বা গ্রহণ করতে পারবে না। 
কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের নির্দেশিকার পরই ক্রিপ্টোকারেন্সি ক্রয়-বিক্রয়কারী সংস্থাগুলির তরফে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা দায়ের হয়। এছাড়া আরও বেশ কয়েকটি মামলাও দায়ের হয় শীর্ষ আদালতে। তাঁদের দাবি ছিল, ওই নির্দেশিকার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করা হোক। কিন্তু, সুপ্রিম কোর্ট এই আর্জি খারিজ করে দিয়ে ওই বছরেরই ৬ জুলাই থেকে ক্রিপ্টোকারেন্সি-র লেনদেন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। 
অন্যদিকে, 'ডিজিটাল ইন্ডিয়া-'র লক্ষ্যে ভারতের নিজস্ব সরকারি ডিজিটাল মুদ্রা প্রচলনের চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্রীয় অর্থ দপ্তর। অর্থ মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, "রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে আলোচনার পরেই ডিজিটাল মুদ্রা প্রচলনের ব্যাপারে পদক্ষেপ করবে সরকার।"