ওয়েব ডেস্ক: এক বছরের ব্যবধানে পঞ্জাবের মাটিতে দু-দুটো বড়সড় সন্ত্রাসবাদী হামলা। প্রতিবারই সীমান্তের ওপার থেকে মদত দেওয়ার প্রমাণ মিলেছে। জঙ্গি অনুপ্রবেশ রুখতে অবশেষে সক্রিয় হল রাজ্য সরকার। গুরদাসপুর, বাতালা এবং পাঠানকোট, ভারত-পাক সীমান্ত সংলগ্ন এই তিন জেলায় বসছে সিসিটিভি। নজরদারির জন্য থাকছে বিশেষ কন্ট্রোল রুম।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন এবার আল কায়দার নিশানায় ভারত


গুরদাসপুরের দীননগরে একটি থানায় হামলা চালায় জঙ্গিরা। দিনভর গুলির লড়াইয়ে তিন পুলিসকর্মী এবং তিনজন সাধারন মানুষের মৃত্যু হয়। পুলিসের গুলিতে প্রাণ হারায় হামলাকারীরা। গুরদাসপুর থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে, পাঠানকোটের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলা চালায় সশস্ত্র জঙ্গিরা। গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় ৬ জওয়ানের।


৬ মাসের ব্যবধানে পঞ্জাবের বুকে দু-দুটো সন্ত্রাসবাদী হামলা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিল, কাঁটাতারের ফাঁক-ফোকর। জানান দিয়েছিল, সীমান্তের নজরদারি এড়িয়ে ঢুকছে পাক জঙ্গিরা। অবশেষে জঙ্গি অনুপ্রবেশ রুখতে বিশেষ উদ্যোগ নিল পঞ্জাব সরকার। পাক সীমান্তে বসানো হচ্ছে সিসিটিভি। প্রথম পর্যায়ে গুরদাসপুর, বাটালা এবং পাঠানকোট। এই তিন জেলায় বসছে নজরদারি ক্যামেরা। তারজন্য বাজেটে ৭৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া থাকবে কন্ট্রোল রুম। যেখানে পুলিসকর্মীরা ২৪ ঘণ্টাই সিসিটিভি ফুটেজ মনিটর করতে পারবেন।


আরও পড়ুন ভোট পরবর্তী জোট অটুট রাখতে চাইছেন খোদ সোনিয়া গান্ধি


কিছুদিন আগে জম্মু ও কাশ্মীরের প্যাম্পোরেও কেন্দ্রীয় পুলিস বাহিনীর বাসে হামলা চালায় জঙ্গিরা। আবারও সীমান্তের ওপার থেকেই নাশকতায় মদতের অভিযোগ উঠেছে। পাক সীমান্তে সিসিটিভি ক্যামেরা বসলেই কি কমবে জঙ্গি অনুপ্রবেশ? প্রশ্ন এখন এটাই।