ওয়েব ডেস্ক: সিরিয়া থেকে হামলার ছক ভারতে। এনআইয়ের তত্‍পরতায় পর্দা ফাঁস আইএসের দেশজোড়া নাশকতার চক্রান্ত। উদ্ধার অস্ত্র, টাকা, বিস্ফোরক, ল্যাপটপ, পেনড্রাইভ। ল্যাপটপ ও পেনড্রাইভ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই জানা গেছে গোটা অপারেশনটাই চালানো হচ্ছিল সিরিয়া থেকে। সিরিয়া থেকে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে নাশকতার ছক সাজানো হয়েছিল। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভারতে আইএস হামলার চক্রী সফি আরমার। কর্ণাটকের ভাটকলের বাসিন্দা সফি গোড়ায় ছিল ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের মাথা। পরে সিরিয়ায় পৌছে সে আইএসের ভারতীয় শাখা জুনোদ-এ- খালিফায়ে হিন্দের প্রতিষ্ঠা করে। ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের প্রাক্তন এই সংগঠক বর্তমানে ইসলামিক স্টেটের গুরুত্বপূর্ণ নেতা। তার নেতৃত্বেই  জুনোদ-এ- খালিফায়ে হিন্দের মাধ্যমে  ভারতে সংগঠন ছড়াচ্ছে আইএস।  হায়দরাবাদে ধরা পড়া আইএস মডিউলের সঙ্গে সফি আরমারের সরাসরি যোগসূত্র মিলেছে। এরআগে এবছর এক ডজনেরও বেশি যুবক সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ধরা পড়ে। তার মধ্যে ছিল হুগলির আসিক আহমেদও। তাদের সঙ্গেও সফি আরমারের যোগাযোগ মিলেছে।


টার্গেট সরকারি দফতর, শপিং মল, এবং ধর্মীয় স্থান। প্রেসার বম্ব ও টাইম বম্ব ব্যবহার করেই নাশকতার ছক কষেছিল জঙ্গিরা। রাতভর তল্লাসির পর ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এনআইয়ের তদন্তকারীদের দাবি আইএস মডিউলের হামলার ছক ছিল দেশের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দফতর, শপিং মল ও ধর্মীয় স্থানে। আগামী দুসপ্তাহের মধ্যেই হামলার ছক কষেছিল তারা। সেই টার্গেট অনুযায়ী রেইকিও সেরে নিয়েছিল তারা। 


অস্ত্র প্রশিক্ষণ নয় রীতিমতো বিস্ফোরক তৈরির কারখানা উদ্ধার হয়েছে পুরনো হায়দরাবাদের মিরবাইচক, ভবানীনগরে। মঙ্গলবার রাতভর তল্লাসিতে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক ,আগ্নেয়াস্ত্র, টাইমার এবং রিমোট নিয়ন্ত্রিত আইইডি তৈরির সাজসরঞ্জাম। উদ্ধার হয়েছে পনেরো লক্ষ টাকা। এই টাকাও এসেছিল সিরিয়া থেকেই , দাবি এনআইয়ের। এছাড়াও উদ্ধার হয়েছে ২টি সেমি অটোমেটিক পিস্তল, টেলিস্কোপির সাইট সহ এয়ারগান, শুটিং প্র্যাকটিস করার বোর্ড, গ্যাস স্টোভ, হিটার টাইমার, প্রেসার মিটার, কনডেনসার, ৩ লিটার রং, ২টো ঘড়ি, মাস্ক ও গ্লাভ্স, ৬টি ল্যাপটপ, ৪০টি মোবাইল, ৩২টি সিমকার্ড, হার্ডডিস্ক, মেমোরি কার্ড, ট্যাব, পেন ড্রাইভ। 


এনআইয়ের জালে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার দুই ভাই মহঃ ইলিয়াসি ইয়াজদানি,মহঃ ইব্রাহিমি ইয়াজদানি। সঙ্গে গ্রেফতার তার আরও তিন সহযোগী হাবিব মহম্মদ ওরফে স্যার, আবদুল্লা বিন আহমেদ আল আমুদি, মুজফফর হোসেন রিজুয়ান। বাকি ছয়জনেরও ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোথায় কোথায় হামলার ছক কষেছিল তারা জানতে চলছে জেরা। 


মঙ্গলবার রাতভর মোট দশ জায়গায় তল্লাসি চালায় এনআইএ।
মহঃ ইলিয়াসি ইয়াসদানিকে  খোঁজে তল্লাসি চালানো হয় আমননগরে।
মহঃ ইব্রাহিমি ইয়াসদানির খোঁজে তল্লাসি চলে চট্টাবাজার,লাক্কড়কোটে।
হাবিব মহম্মদের খোঁজে তল্লাসি চলে হাসামাবাদ।
আবদুল্লা বিন আহমেদের খোঁজে তল্লাসি চালানো হয় হায়দরাবাদের পঞ্চমহল্লায়।
মুজফফর হুসেন রিজুয়ানের খোঁজে  তল্লাসি চলে তালাবকাট্টায়।
মহম্মদ ইরফানকে আটক করা হয়েছে জাহেরানগর থেকে।
সৈয়দ নইমত উল্লা হুসেনি কে আটক করা হয়েছে মোঘলপুরা থেকে।
মহম্মদ আতাউল্লা রহমানকে আটক করা হয়েছে বান্দলাগুড়া থেকে।
আবদুলকে  আটক করা হয়েছে হাসমাবাদ থেকে।
এএম আজহার আটক করা হয়েছে তালাবকাট্টা থেকে।
মহম্মদ আরবাজ আহমেদকে আটক করা হয়েছে চান্দ্রায়ন গুট্টা থেকে।



গোয়েন্দাদের আশঙ্কা এই জঙ্গিদের থেকে আগেই বেশকিছু জায়গায় পৌছে যেতে পারে শক্তিশালী বিস্ফোরক। কোথায় তা পৌছেছে তা বের করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।