নিজস্ব প্রতিবেদন: এক দশক পর মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় অভিযুক্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল পুরোহিত, সাধ্বী প্রজ্ঞা-সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হল। তাঁদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইনে এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ও খুনের অভিযোগ এনে মঙ্গলবার  চার্জ গঠন করে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনআইএ) বিশেষ আদালত। ২ নভেম্বর পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন বিচারক বিনোদ পড়লকর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- বিজেপির দুর্নীতির চাপে ঘেঁটে গিয়ে ভুল বলেছি, নিজের হুলেই বিদ্ধ রা-হুল


কর্নেল পুরোহিত এবং সাধ্বী প্রজ্ঞা ছাড়াও চার্জ গঠন করা হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত মেজর রমেশ উপাধ্যায়, অজয় রাহিরকর, শুধাকর দ্বিবেদী, শুধাকর চতুর্বেদী এবং সমীর কুলকার্নির বিরুদ্ধে। এ দিন আদালতে ৭ জন অভিযুক্তই উপস্থিত ছিলেন। এনআইএ-র বিশেষ আদালতের এই সিদ্ধান্তে প্রজ্ঞা সাংবাদিকদের জানান, এর আগে এনআইএ তাঁকে ক্লিনচিট দিয়েছে। ফের তাঁর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করার পিছনে কংগ্রেসের ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে অভিযোগ করেন প্রজ্ঞা। তিনি দাবি করেন, আমি যে নিরপরাধ তার প্রমাণ একদিন হবেই। সত্যের জয় হবেই।


আরও পড়ুন- কংগ্রেসের আমলে ‘যথেচ্ছ’ ঋণ দিয়েছে ব্যাঙ্কগুলো, আরবিআই বিতর্কে পাল্টা জেটলি


উল্লেখ্য, বিশেষ আদালতের চার্জ গঠনের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ আনতে কর্নেল পুরোহিত-সহ অন্যান্য অভিযুক্তরা বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। কিন্তু তাঁদের আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। বিচারপতি মনে করিয়ে দেন, সুপ্রিম কোর্ট এবং বম্বে হাইকোর্টের নির্দেশই বিশেষ আদালতে  মালেগাঁও বিস্ফোরণের মামলা চলছে।   তবে, আনলফুল অ্যাক্টিভিটিস (প্রিভেনশন) অ্যাক্ট (ইউএপিএ) বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আগামী মাসে শুনানির নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার আইনজীবী সন্দেশ পাতিলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, পরবর্তী শুনানি দিন ২১ নভেম্বরে পুরোহিতের আবেদনের জবাবদিহি আদালতে জমা দিতে হবে।


উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে ২৯ সেপ্টেম্বর মালেগাঁওয়ের মসজিদের সামনে মোটরবাইকে রাখা বোমা বিস্ফোরণে ৬ জনের মৃত্যু হয়। জখম হন একশোর বেশি। কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরণ ঘটানোর অভিযোগ ওঠে। মোটর সাইকেলে যে বোমা রাখা হয়েছিল, সেটি সাধ্বী প্রজ্ঞার বলে জানা যায়।