জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: লিভ ইন পার্টনারকে লুকিয়ে অন্য কাউকে বিয়ে এবং এনিয়ে তৈরি হওয়া সমস্যা সমাধান করতেই দিল্লিতে খুন করা হয় নিক্কি যাদবকে। কিন্তু তার থেকেও বড় বিষয় হল নিক্কিকে খুন করতে তাকে সাহায্য করেছিল তার লিভ ইন পার্টনার সাহিল গেহলটের পরিবারের লোকজন। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল তদন্তে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-মনোজ-অনুষ্টুপের লড়াইয়ের পরেও উনাদকাটদের রঞ্জি হাতে তোলা সময়ের অপেক্ষা   


গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দিল্লির বাইরে একটি ধাবার ফ্রিজ থেকে উদ্ধার হয় নিক্কি যাদবের মৃতদেহ। তাকে খুন করা হয় ৯ ফেব্রুয়ারি। তারপরই দেহ লোপাট করতে না পেরে মৃতদেহ পরিবারের ধাবার একটি ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখে সাহিল। দিল্লিকে শ্রদ্ধা ওয়ালকরের ভয়ংকর খুনের পর ফের লিভ ইন পার্টনারের হাতে খুন হলেন আরও এক তরুণী।


এদিকে, তদন্ত যত এগিয়ে আসছে ততই বেরিয়ে আসছে নতুন তথ্য। পুলিস সাহিলের বাবা ও তার পরিবারের ৩ সদস্য ও বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। তারাই নিক্কিকে খুন করতে সাহায্য করেছিল। দিল্লি পুলিসের স্পেশাল কমিশনার রবীন্দ যাদব সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, নিক্কি যাদব খুনের ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিস। ওই খুনে সাহিলকে সাহায্য করেছিল তার বাবাও। 


সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে লিভ ইন পার্টনার হিসেবে নিক্কি ও সাহিলকে জানা গেলেও তারা নয়ডার এক মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেছিল ২০২০ সালে।  নিক্কির সঙ্গে বিয়ে, সাহিলের সঙ্গে নিক্কির সম্পর্কে মেনে নেয়নি। শুধু তাই নয় অন্য জায়গায় নিক্কির বিয়েও ঠিক করে ফেলে। সেই বিয়ে হয়েও যায়। বিয়ের আগের দিনই এনিয়ে বাকবিতন্ডা বেধে যায় নিক্কি ও সাহিলের মধ্যে। 


সিসিটিভির ফুটেজে নিজের ঘরে যাওয়ার সময়ে নিক্কিকে দেখা গিয়েছিল ৯ ফেব্রুয়ারি। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই তাকে খুন করা হয় বলে মনে করছে পুলিস। সূত্রের খবর, নতুন বিয়ে নিয়ে একটি গাড়ির মধ্যেই নিক্কি ও সাহিলের মধ্যে প্রবল ঝগড়া হয়। তারই ফলশ্রুতিতে নিক্কিকে মোবাইল চার্জিং কেবল দিয়ে শ্বাসরোধ করে সাহিল। এরপরই তার দেহ পরিবারের লোকজনের সাহায্যে তাদের পারিবারিক ধাবার একটি ফ্রিজে ঢুকিয়ে দেয়।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)