নিজস্ব প্রতিবেদন:  দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর শুক্রবার কাকভোরে ফাঁসি হল নির্ভয়া গণধর্ষণকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত ৪ অপরাধীর। ২০১২-র ১৬ ডিসেম্বর রাতে দিল্লিতে চলন্ত বাসে ২৩ বছর বয়সী প্যারামেডিক্যাল ছাত্রী নির্ভয়াকে গণধর্ষণ করে ৬ জন। অভিযুক্তদের মধ্যে একজন নাবালক বলে সংশোধনাগারে ৩ বছর থাকার পর ছাড়া পেয়ে যায়। আরেক অভিযুক্ত রাম সিং জেলের মধ্যেই আত্মহত্যা করে। বাকি ৪ আসামীকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে আদালত। তারপরেও চলে আইনি লড়াই। শেষমেশ এদিন ভোর সাড়ে ৫টায় অক্ষয় ঠাকুর(৩১), পবন গুপ্তা (২৫), বিনয় শর্মা (২৬) ও মুকেশ সিংকে ফাঁসি দেওয়া হয় দিল্লির তিহাড় জেলে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জেল সূত্রে খবর, ফাঁসির আগের রাতে ওই ৪ আসামী অস্বাভাবিক ব্যবহার করতে থাকে। মুকেশ ও বিনয় রাতের খাবার একটুখানি খেলেও, অক্ষয় শুধু চা খায়। ৪ জনের কেউই সারারাতে দু চোখের পাতা এক করেনি। তিহার জেলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ৪ জন আসামীকে ভিন্ন ভিন্ন ঘরে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। কড়া নিরাপত্তায় ঢেকে ফেলা হয় জেল চত্বর। রাতে পবন গুপ্তা জেলকর্মীদের সঙ্গে অভদ্র আচরণ করে। সারারাত ধরে বিনয় শর্মা পাগলের মত ভুলভাল বকে, কাঁদতেও দেখা যায় তাঁকে। তবে মুকেশ ও অক্ষয় চুপচাপই ছিল। এমনকি সকালের খাবার খেতেও অস্বীকার করে সবাই। ৪ জনের কেউই কিছু খায়নি।


আরও পড়ুন, 'মেয়ের ছবি জড়িয়ে ধরে ওকে বললাম, দেরিতে হলেও বিচার পেলি মা'


উল্লেখ্য, ফাঁসির আগে আসামীদের স্নান করানোর নিয়ম রয়েছে। কিন্তু ৪ জনকে ভোরবেলা স্নান করার জন্য নিয়ে যাওয়া হলে, তারা প্রত্যেকেই স্নান করতে রাজি হয়নি। এরপর ভোর সোয়া ৫টা নাগাদ তাদের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকের পরীক্ষার পর ৩ নম্বর জেলে নিয়ে গিয়ে ফাঁসির দড়িতে ঝোলানো হয় অপরাধীদের। টানা ৩০ মিনিট সেইভাবে রাখা হয়। তারপর জেলের ডিরেক্টর সন্দীপ গোয়েল তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরই দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।


ফাঁসিতে ঝোলানোর আগে নিজেদের শেষ ইচ্ছের কথা জেল সুপারকে জানায় মুকেশ সিং ও বিনয় শর্মা। মুকেশ জানায়, সে অঙ্গদান করতে চায়। অন্যদিকে বিনয় তার আঁকা ছবি জেল সুপারকে দিতে চায়। আর তার কাছে থাকা হনুমান চলিশা পরিবারকে দিতে চায়। যদিও ৪ জনের কেউ-ই সরকারিভাবে তাদের ইচ্ছে নথিবদ্ধ করেনি।


  • <a title="share on facebook" last="" wishes"="" ,="" "https:="" akm-img-a-in.tosshub.com="" indiatoday="" images="" breaking_news="" 202003="" nirbhaya_case_execution_live_u-647x363.jpeg?oj147qj0qmfflciew9olejevaxkouyld");="" ga("send",="" "event",="" {="" eventcategory:="" "facebookliveblog",="" eventaction:="" "click",="" eventlabel:="" "sharebutton"})'="" class="facebook def-cur-pointer" >