ফাঁসি কোনওদিনই হবে না, ভরা আদালতেই নির্ভয়ার মাকে টিটকিরি ধর্ষকদের আইনজীবীর
আরও একবার অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে গেল নির্ভয়াকাণ্ডে দোষীদের ফাঁসি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আরও একবার পিছিয়ে গেল নির্ভয়াকাণ্ডের অপরাধীদের ফাঁসি। দিল্লির পাটিয়ালা আদালতের বাইরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন নির্ভয়ার মা আশা দেবী। সাংবাদিকদের তিনি জানালেন, ভরা আদালতে ধর্ষকদের আইনজীবী এপি সিংয়ের আস্ফালন শুনতে হয়েছে তাঁকে। আশা দেবী বলেন,''এপি সিং বক্রোক্তি করেছেন, ফাঁসি কোনওদিনই হবে না।'' তবে লড়াই থামছে না আশাদেবীর।
আরও একবার অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে গেল নির্ভয়াকাণ্ডে দোষীদের ফাঁসি। দিল্লির পাটিয়ালা আদালত তাদের ফাঁসি স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ফাঁসি দেওয়া যাবে না ৪ অপরাধীকে। এটাই চাইছিল দোষীরা। ফাঁসি পিছিয়ে দিতে চেষ্টার কসুর করেনি তারা। সুপ্রিম কোর্টে বারবার যাওয়া থেকে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আর্জি। সব মতলবই জলে গিয়েছে। মনে হচ্ছিল, ১ ফেব্রুয়ারি বিচার পাবে নির্ভয়া। ফাঁসুড়ে পবন জল্লাদও তিহাড় জেলে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। কিন্তু না! আগের দিন, শুক্রবার দিল্লির পাটিয়ালা আদালত স্থগিত করল ফাঁসি।
ঠিক ছিল ২২ জানুয়ারি ফাঁসি দেওয়া হবে নির্ভয়াকাণ্ডের ৪ দোষীকে। সে যাত্রাতেও ফাঁসি পিছিয়ে দিতে পেরেছিল তারা। ১ ফেব্রুয়ারি ফাঁসির দিন স্থির হয়। দ্বিতীয়বারও পিছিয়ে গেল ফাঁসি। নির্ভয়ার মা আশাদেবীর দাবি, ভরা আদালতেই দোষীদের আইনজীবী এপি সিং বক্রোক্তির সুরে তাঁকে চ্যালেঞ্জ করেছেন, ফাঁসি কখনই হবে না। এরপরই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট এক অভিযুক্ত অক্ষয় ঠাকুরের ক্ষমাভিক্ষার আবেদন ফিরিয়ে দিলেও, নতুন করে এদিন নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে আরেক অভিযুক্ত পবন গুপ্তা। ২০১২-র ১৬ ডিসেম্বর ঘটনার সময় সে নাবালক ছিল। এই দাবিতে এদিন ফের সুপ্রিম কোর্টের কাছে নতুন করে দ্বারস্থ হয় পবন। যদিও সেই আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এক ইস্যুতে বার বার আবেদন করা যাবে না বলে জানায় শীর্ষ আদালত। এরপরই নতুন করে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমাভিক্ষার আবেদন করে আরেক আসামী বিনয় শর্মা। যে আবেদনের প্রেক্ষিতেই এদিন ফাঁসির আদেশ স্থগিত হয়ে গেল পাটিয়ালা হাউজ কোর্টে। নিয়ম অনুযায়ী, আজ রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ সেই আবেদন খারিজ করে দিলেও, ফাঁসির আগে ১৪ দিন সময় পায় আসামী।
আরও পড়ুন- চলতি অর্থবর্ষে জিডিপি ৫%, আগামীতে ৬-৬.৫ শতাংশ, আভাস আর্থিক সমীক্ষায়