চলতি অর্থবর্ষে জিডিপি ৫%, আগামীতে ৬-৬.৫ শতাংশ, আভাস আর্থিক সমীক্ষায়
অর্থনীতির হাল ফেরাতে নির্মাণশিল্পে জোর দেওয়া হয়েছে আর্থিক সমীক্ষায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: অর্থনীতি কি ঘুরে দাঁড়াবে? তার আভাস দিল আর্থিক সমীক্ষা। শুক্রবার সংসদে আর্থিক সমীক্ষা পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। আর্থিক সমীক্ষায় আভাস, আগামী অর্থবর্ষে জিডিপি থাকতে পারে ৬ থেকে ৬.৫ শতাংশে। চলতি আর্থিক বছরে জিডিপি থাকতে পারে ৫%। এরইসঙ্গে কর আদায়ের লক্ষ্য পূরণ না হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে সমীক্ষায়। রাজকোষের ঘাটতি কমানোর উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে। সরকারি খরচে রাশ টানার কথাও বলা হয়েছে আর্থিক সমীক্ষায়।
আর্থিক বৃদ্ধির হার ৭ শতাংশে থাকতে পারে বলে গতবছর দাবি করেছিল মোদী সরকার। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পরিসংখ্যান চেপে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, অর্থনৈতিক বেহাল দশা লুকিয়ে রাখতে রিপোর্ট পেশ করছে না শাসক দল। জিডিপি নিয়েও সরকারের দাবিই সার! ২০১৯-২০২০ অর্থবর্ষে বৃদ্ধি ৫ শতাংশেই থাকছে। অতিসম্প্রতি বিশ্বব্যাঙ্ক ও আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডার বা IMF জানিয়েছিল, চলতি আর্থিক বছরে দেশের জিডিপি থাকতে পারে ৫ শতাংশেরও নীচে, ৪.৮%। চলতি অর্থবর্ষের জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার ছিল সাড়ে ৪ শতাংশ। ২০১৩ সালের পর তা সর্বনিম্ন।
অর্থনীতির হাল ফেরাতে নির্মাণশিল্পে জোর দেওয়া হয়েছে আর্থিক সমীক্ষায়। বলা হয়েছে, ফ্ল্যাটের দাম অনেকটা বাড়ি রাখা হয়েছে। দাম কমালে সেগুলি বিক্রি করতে পারবেন প্রোমোটাররা। এর পাশাপাশি খাদ্যপণ্যে ভর্তুকির কম রাখার কথাও বলা হয়েছে। এতে কমবে সরকারি খরচ। কর্মসংস্থান নিয়ে আশার কথা শুনিয়েছে আর্থিক সমীক্ষা। বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে ৪ কোটি ও ২০৩০ সালের মধ্যে ৮ কোটি কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা রয়েছে।
আর্থিক সমীক্ষার আশঙ্কা, বিশ্বজুড়ে আর্থিক মন্দা দেখা দিতে পারে। এর প্রভাব পড়তে পারে রফতানিতে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে বিবাদের জেরে আরও কমজোর হতে পারে ডলারের নিরিখে টাকার মূল্য। বাড়তে পারে অপরিশোধিত তেলের দাম। আগামী অর্থবর্ষে রাজকোষ ঘাটতি বাড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে বলে আশঙ্কা।
আরও পড়ুন- ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত করার স্বপ্ন, জেরায় স্বীকারোক্তি শার্জিলের