ধর্ষকদের ছেড়েই যদি দেবে আদালত এত সময় নেওয়ার মানে কী? ভেঙে পড়লেন নির্ভয়ার মা
সকাল থেকে দিল্লির পাটিয়ালা আদালতে বসে রয়েছেন নির্ভয়ার মা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ২২ জানুয়ারি ফাঁস ঠিক হয়েছিল নির্ভয়াকাণ্ডের ৪ ধর্ষক। ছলছাতুরি করে সেই দিন স্থগিত করেছিল তারা। ১ ফেব্রুয়ারি ফাঁসির দিন স্থির হয়। আবারও পিছিয়ে গেল ফাঁসি। আদালতকক্ষেই ভেঙে পড়লেন নির্ভয়ার মা। প্রশ্ন তুলে দিলেন, দেশের বিচারব্যবস্থা নিয়ে। চোখে জল নিয়ে আশাদেবী বললেন, অপরাধীদের সামনে মাথানত করছে আদালত, সরকার।
সকাল থেকে দিল্লির পাটিয়ালা আদালতে বসে রয়েছেন নির্ভয়ার মা। দিনের শেষে দেখতে হল, ফাঁসি আরও একবার পিছিয়ে গেল। তাও অনির্দিষ্টকালের জন্য। বেরিয়ে এসে নির্ভয়ার মা আশাদেবী বলেন,''সকাল ১০টা থেকে বসে আছি (আদালতে)। অপরাধীদের যদি ছেড়েই দেবে তো এত সময় নেওয়ার মানে কী? আমাদের বসিয়ে রেখে, আশা দেখাচ্ছে কেন? আমরা আশা নিয়ে অপেক্ষা করেছিলাম। বাড়ি ফিরে যেতে বলল না কেন?''
দিল্লি ও কেন্দ্রের সরকারের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন আশাদেবী। তাঁর কথায়,''সবাইকে শোনাতে চাই, দিল্লি সরকারও শুনুক, কেন্দ্রীয় সরকারেরও শোনা উচিত, সরকার ও আদালত অপরাধীদের সামনে মাথানত করছে।'
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট এক অভিযুক্ত অক্ষয় ঠাকুরের ক্ষমাভিক্ষার আবেদন ফিরিয়ে দিলেও, নতুন করে এদিন নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে আরেক অভিযুক্ত পবন গুপ্তা। ২০১২-র ১৬ ডিসেম্বর ঘটনার সময় সে নাবালক ছিল। এই দাবিতে এদিন ফের সুপ্রিম কোর্টের কাছে নতুন করে দ্বারস্থ হয় পবন। যদিও সেই আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এক ইস্যুতে বার বার আবেদন করা যাবে না বলে জানায় শীর্ষ আদালত। এরপরই নতুন করে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমাভিক্ষার আবেদন করে আরেক আসামী বিনয় শর্মা। যে আবেদনের প্রেক্ষিতেই এদিন ফাঁসির আদেশ স্থগিত হয়ে গেল পাটিয়ালা হাউজ কোর্টে। নিয়ম অনুযায়ী, আজ রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ সেই আবেদন খারিজ করে দিলেও, ফাঁসির আগে ১৪ দিন সময় পায় আসামী।
আরও পড়ুন- ফাঁসি কোনওদিনই হবে না, ভরা আদালতেই নির্ভয়ার মাকে টিটকিরি ধর্ষকদের আইনজীবীর