গডকড়ি চালে জয় পেয়েও পরাজিত দিগ্বিজয়
পিছিয়ে থেকেও গোল করে দিলেন গডকড়ি, কিন্তু জয় পেয়েও সরকার গড়তে ব্যর্থ দিগ্বিজয়। গোয়া রাজনীতির সাম্প্রতিক আপডেট এটাই। ৪০ আসন বিশিষ্ট গোয়া বিধানসভায় সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে কংগ্রেস (১৭টি)। আর বিজেপির ঝুলিতে মাত্র ১৩টি। কিন্তু শেষ অবধি সরকার গড়ছে বিজেপিই, মুখ্যমন্ত্রীর পদে আজই শপথ নেবেন মনোহর পরিক্কর। কিন্তু এটা কী করে সম্ভব?
ওয়েব ডেস্ক: পিছিয়ে থেকেও গোল করে দিলেন গডকড়ি, কিন্তু জয় পেয়েও সরকার গড়তে ব্যর্থ দিগ্বিজয়। গোয়া রাজনীতির সাম্প্রতিক আপডেট এটাই। ৪০ আসন বিশিষ্ট গোয়া বিধানসভায় সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে কংগ্রেস (১৭টি)। আর বিজেপির ঝুলিতে মাত্র ১৩টি। কিন্তু শেষ অবধি সরকার গড়ছে বিজেপিই, মুখ্যমন্ত্রীর পদে আজই শপথ নেবেন মনোহর পরিক্কর। কিন্তু এটা কী করে সম্ভব?
গোয়ার রাজ্যপাল মৃদুলা সিনহা সরকার গড়তে ডেকেছেন মনোহর পরিক্করের বিজেপিকে। কিন্তু কম আসন পাওয়া বিজেপিকে কেন সরকার গড়তে ডাকলেন রাজ্যপাল?- এই প্রশ্ন নিয়েই শেষ মুহূর্তে সুপ্রিমকোর্টে মামলা করে কংগ্রেস। আজ সেই মামলার শুনানিতে আদালত জানিয়ে দেয়, আপাতত মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন পরিক্করই। কংগ্রেসকে ভর্ত্সনা করে জানতে চাওয়া হয়, কেন তারা রাজ্যপালের কাছে সরকার গড়ার আবেদন জানায়নি? তাদের সংখ্যা গরিষ্ঠাতা (ম্যাজিক ফিগারের চেয়ে বেশি) রয়েছে কি? পাশাপাশি শীর্ষ আদালত আরও বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার বিধানসভায় মনোহর পরিক্করকে সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে। কিন্তু কী এমন করল বিজেপি যাতে কম আসন পেয়েও সরকার গড়ার আত্মবিশ্বাসে ভরপুর হয়ে উঠল তারা!
এখানেই আসছে, নিতিন গড়কড়ি বনাম দিগ্বিজয় সিংহ প্রসঙ্গ। বিজেপির তরফে গোয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা নিতিন গডকড়ি ভোটের ফল প্রকাশ হতেই নেমে পড়েন ময়দানে। ১১ তারিখ গভীর রাতেই সমর্থন জোগাড় করতে তিনি যোগাযোগ শুরু করেন মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি (এমজিপি) এবং গোয়া ফরোয়ার্ডের সঙ্গে। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহনমন্ত্রী কথা বলেন আরও দুই বিজয়ী নির্দল প্রার্থীর সঙ্গে। আর এই দলগুলি মনোহর পারিক্করকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী করার শর্তে বিজেপিকে সমর্থনে সম্মত হয়। তারপরেই রাজ্যের রাজ্যপাল মৃদুলা সিনহার কাছে সরকার গড়ার দাবি জানিয়ে রাখেন গডকড়ি।
অন্যদিকে, কংগ্রেসের তরফে গোয়ার দায়িত্বে থাকা দিগ্বিজয় সিংহের বিরুদ্ধে স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়কদের অভিযোগ, তিনি ফল প্রকাশের পরও হাতগুটিয়ে বসেছিলেন। আর সেই সময়ই 'গোল' করে দেন গডকড়ি। ফলে, এখন হাত কামড়ালেও আর কিছুই করার নেই কংগ্রেসর, এমনই বলছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তবে গোয়ার উত্তেজনা আগামী বৃহস্পতিবার আস্থাভোট না মেটা পর্যন্ত যে জারি থাকবে সেবিষয়ে সহমত সবপক্ষই। (আরও পড়ুন- বিজেপিতে কৃষ্ণ)