নিজস্ব প্রতিবেদন: অমিত শাহ। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তিনি নিজের দলের নীতি-নির্ধারণ করবেন। কোন পদে কে বসবেন, তা ঠিক করবেন। এমনটাই স্বাভাবিক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: রাহুলের অক্ষমতার জন্যই মহাজোট ছেড়েছি, কংগ্রেস সভাপতিকে আক্রমণ নীতিশের


তা বলে তিনি নেতা বেছে দেবেন অন্য রাজনৈতিক দলেরও! এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে মঙ্গলবার। আর তা সামনে এনেছেন এমন একজন, যিনি এনডিএ-র শরিক দলের নেতা।


কে তিনি? ওই নেতার নাম নীতীশ কুমার। তিনি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা। এনডিএ-র শরিক জেডিইউ-এর প্রধান। কী বলেছেন তিনি? তাঁর বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি, প্রশান্ত কিশোরকে দলে কোনও পদ দেওয়ার জন্য তাঁকে ফোন করেছিলেন অমিত শাহ। একবার দু'বার তিনি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির কাছ থেকে এ নিয়ে ফোন পেয়েছিলেন।


আরও পড়ুন: কর্ণাটকে চলছে ‘খেলা ভাঙার খেলা’, ঈশ্বরই থামাতে পারেন, বললেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌড়া


প্রসঙ্গত, প্রশান্ত কিশোর প্রচারের আলোয় আসেন ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর। কারণ, তিনি নরেন্দ্র মোদীর প্রচার-দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। বলা যায়, প্রচারের বিভিন্ন কৌশল তৈরির মাস্টারমাইন্ড ছিলেন তিনি। এর পর তাঁকে একাধিক দলের হয়ে কাজ করতে দেখা গিয়েছে।



গত সেপ্টেম্বরে তিনি নীতীশ কুমারের দলে যোগদান করেন। তাঁকে দলের উপ-সভাপতি পদ দেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় চার মাস পর প্রশান্তকে দলে নেওয়া ও তাঁকে দলের শীর্ষস্তরের পদে বসানোর আসল রহস্য সামনে আনলেন নীতীশ কুমার।


আর এই তথ্য সামনেই আসতেই শুরু হয়েছে বিতর্কে। আরজেডি নেতা তথা একসময় বিহারে নীতীশ সরকারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। তিনি ট্যুইট করে কটাক্ষ করেছেন নীতীশের।


 



তিনি লিখেছেন, নীতীশ কুমার প্রমাণ করলেন যে জেডিইউ বিজেপির আধুনিক সংস্করণ। তিনি নিজের পদটি ছাড়া বাকি পদগুলির জন্য বিজেপির অমিত শর্মার পরামর্শকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন। এই কারণেই বিহারের অপরাধ ও গণপিটুনি বাড়ছে বলেই ওই ট্যুইটে অভিযোগ করেছেন তেজস্বী যাদব।