রাহুলের অক্ষমতার জন্যই মহাজোট ছেড়েছি, কংগ্রেস সভাপতিকে আক্রমণ নীতীশের

২০১৭ সালে নীতীশ কুমার জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। জেডিইউ, আরজেডি ও কংগ্রেসের জোটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। আরজেডি নেতা তথা বিহারের তত্কালীন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই এফআইআর দায়ের করে। তার পরই জোট ছাড়েন নীতীশ।

Updated By: Jan 16, 2019, 03:10 PM IST
রাহুলের অক্ষমতার জন্যই মহাজোট ছেড়েছি, কংগ্রেস সভাপতিকে আক্রমণ নীতীশের

নিজস্ব প্রতিবেদন: বিহারে বিজেপি বিরোধী মহাজোট ভেঙে যাওয়ার দায় কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর উপর চাপালেন নীতীশ কুমার। মঙ্গলবার এই ইস্যুতে সংযুক্ত জনতা দলের প্রধান তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার রাহুলকে কার্যত অক্ষম বলে 'কটাক্ষ' করলেন।

আরও পড়ুন: কর্ণাটকে চলছে ‘খেলা ভাঙার খেলা’, ঈশ্বরই থামাতে পারেন, বললেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌড়া

২০১৫ সালে বিহার বিধানসভা নির্বাচনের সময় বিজেপি বিরোধী মহাজোট তৈরি হয়েছিল। জোটে জেডিইউ ছাড়াও ছিল কংগ্রেস ও আরজেডি। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ওই জোট ক্ষমতায় আসে। আবারও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হন নীতীশ কুমার। উপ-মুখ্যমন্ত্রী হন আরজেডির তেজস্বী যাদব।

২০১৭ সালে তেজস্বীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সিবিআই তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। তখনই জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন নীতীশ কুমার। ইস্তফা দেন। এর পর বিজেপির সঙ্গে জোট করে তিনি আবার মুখ্যমন্ত্রী হন।

ওই ঘটনার জন্যই কংগ্রেস সভাপতিকে দুষেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, রাহুলের অক্ষমতার জন্যই তিনি জোট ছেড়েছিলেন। উপ-মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর রাহুল কোনও প্রতিবাদ করেনি। বরং জোট ছাড়ার বিষয়টি আরও একবার ভেবে দেখার কথা বলেছিলেন বলে অভিযোগ নীতীশের।

আরও পড়ুন: বিকাশ-মন্ত্রের পাঁচটি সাফল্য জানালেন নরেন্দ্র মোদী

মনমোহন সিং সরকারের সময় দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিকদের বাঁচাতে একটি অর্ডিন্যান্স করেছিলেন। সেই অর্ডিন্যান্স ছিঁড়ে ফেলে বিখ্যাত হয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। মঙ্গলবার সেই প্রসঙ্গ তুলেই কংগ্রেস সভাপতিকে খোঁচা দিয়েছেন নীতীশ কুমার।

তেজস্বীকে নিয়ে রাহুলের অবস্থান নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন জেডিইউ প্রধান। তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ''অপরাধ, দুর্নীতি ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে কখনও আপস করব না।''

একই সঙ্গে এদিন নীতীশ আরজেডিকেও আক্রমণ করেছেন কড়া ভাষায়। বলেছেন, ''আরজেডির কাজ করার পদ্ধতির জন্য আমার দায়িত্ব পালন কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। সর্বস্তরে ওরা নাক গলাচ্ছিল। থানাতে পর্যন্ত ফোন করে ওরা পুলিশকে নির্দেশ দিচ্ছিল।''

এই পরিস্থিতিতে রাহুল গান্ধীকেও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা উচিত ছিল বলে মনে করেন নীতীশ কুমার। এই প্রসঙ্গে তিনি রাহুলকে মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, তাঁর ইচ্ছাতেই ২০১৫ সালের বিহার বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ৪০টি আসন পেয়েছিল। আরজেডি-তে কংগ্রেসকে বেশি আসন দেওয়ার পক্ষপাতি ছিল না বলেই নীতীশের অভিযোগ। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে কংগ্রেসের ২৮ জন জিতেছিলেন।

জোট ছাড়ার পর বিজেপি সমর্থনের প্রস্তাব দেয়। তখন বিহারবাসীর মঙ্গলের জন্য বিজেপির হাত ধরেছিলেন বলে নীতিশ দাবি করেছেন। নরেন্দ্র মোদী সরকার তাঁকে সবরকম সাহায্য করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তবে তিনি জানিয়ে দেন রামমন্দির-সহ একাধিক ইস্যুতে বিজেপির সঙ্গে তাঁর মতভেদ আছে। কিন্তু তাঁরা একসঙ্গে কাজ করতে বদ্ধপরিকর।

আরও পড়ুন: মোদীর প্রচেষ্টায় বিজেপির জন্য দক্ষিণ ভারত থেকে এল সুখবর, জোটের ইঙ্গিত এআইএডিএমকের

লোকজনশক্তি পার্টির রামবিলাস পাসোয়ানকে পাশে পাওয়ায় কয়েক মাস পর লোকসভা নির্বাচনে বিহারে ভালো ফল হবে বলেই আশা প্রকাশ করেছেন নীতীশ। বিহারে মহাজোট কোনও প্রভাব ফেলতে পারবে না বলেই তাঁর মত।

.