নিজস্ব প্রতিবেদন: সাতসকালেই এসেছিল খবরটা। ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম বর্ণময় চরিত্র জর্জ ফার্নান্ডেজ আর নেই। প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর প্রয়াণের খবর রাজনীতির অঙ্গণে ছড়িয়ে পড়তেই প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করে নেতাদের পক্ষ থেকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: প্রয়াত প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জর্জ ফার্নান্ডেজ


ট্যুইট করে শোকপ্রকাশ করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমবেদনা জানান পরিজনদের। ট্যুইট করেন বিজেপি-সহ আরও একাধিক দলের রাজনৈতিক নেতারা।


জর্জ ফার্নান্ডেজের স্মৃতিচারণায় তিনটি ট্যুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাজপেয়ী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এই মন্ত্রী খোলামেলা ও অকুতোভয় নেতা ছিলেন বলেও বর্ণনা করেন প্রধানমন্ত্রী।


আরও পড়ুন: রাম জন্মভূমি আন্দোলনকারীদের অযোধ্যার অবিতর্কিত জমি দিতে চেয়ে আদালতে মোদী সরকার


একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন শ্রমিক নেতা, রেলমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে জর্জ ফার্নান্ডেজের অবদানের কথা। ট্যুইটে মোদী প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে জর্জ সাহিব বলেও উল্লেখ করেছেন।


কিন্তু শোকপ্রকাশ করতে গিয়ে সকলকে ছাপিয়ে গেলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জনতা দল (সংযুক্ত)-এর সভাপতি নীতীশ কুমার। তিনি রাজনীতি ও সরকারে জর্জ ফার্নান্ডেজের অবদানের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে হাউহাউ করে কেঁদে ফেললেন।


দেখুন ভিডিয়ো:



প্রসঙ্গত, জর্জ ফার্নান্ডেজ ছিলেন সমতা পার্টির প্রতিষ্ঠাতা। ওই দলের সাংসদ হিসেবেই তিনি ভোটে জিতেছেন। একাধিক মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছেন। জনতা দলে শরদ যাদব গোষ্ঠীর সঙ্গে সমতা পার্টি মিশিয়ে দিয়েছিলেন জর্জ ফার্নান্ডেজ।


২০০৩ সালের ৩০ অক্টোবর ঘটনাটি ঘটেছিল। তৈরি হয়েছিল সংযুক্ত জনতা দল বা জেডিইউ। সেই কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন নীতীশ কুমার। জর্জ ফার্নান্ডেজকে দেওয়া হয়েছিল দলের মেন্টরের পথ।


আরও পড়ুন: মোদী সরকারের সঙ্গে আর কোনও কথা নয়, বলছে পাকিস্তান


রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, শুধু দলের নয় নীতীশ কুমারেরও মেন্টর হয়ে উঠেছিলেন জর্জ ফার্নান্ডেজ। তাই শোকপ্রকাশ করতে গিয়ে নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে বলতেই কেঁদে ফেলেছেন।