জিতলেন যত, নীতীশ হারলেন তার থেকেও বেশি
ওয়েব ডেস্ক: তিনি মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তিনিই মুখ্যমন্ত্রী আছেন। মাঝে কেবল স্থান পরিবর্তনের মত উল্টে পাল্টে গেল জেডিইউয়ের বন্ধুরা। 'শুত্রু হল মিত্র, মিত্র হল শত্রু'। লালু প্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সঙ্গে বন্ধুতা ত্যাগ করে পদ্মাসনে বসলেন নীতীশ কুমার। পুরনো বন্ধু ভারতীয় জনতা পার্টির হাত ধরেই ষষ্ঠবারের জন্য বিহারের মসনদে বসলেন নীতীশ কুমার। আর এবার আবারও সঙ্গে নিলেন সুশীল কুমার মোদীকেও। বিগত ২০ মাস তেজস্বী যাদবের কাঁধে থাকা বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসলেন 'বিহারের মোদী'। রাজনীতির কারবারিরা বলছেন এটাই নাকি বিহার রাজনীতির এক দশকের সেরা মাস্টারস্ট্রোক। সাপও মরল লাঠিও ভাঙল না! দুর্নীতি ইস্যুতে সমঝোতাও করলেন না, আবার নিজের গদিও বাঁচালেন। সঙ্গে এক্সট্রা, ফিরে পেলেন পুরনো বন্ধু বিজেপিকে। আর এই সব পাওয়ার মধ্যে নিজের অজান্তেই নীতীশ কুমার 'বিসর্জন' দিলেন তাঁর 'জাতীয় রাজনীতিকের পরিচয় এবং বিরোধী পরিসরে জাতীয় মুখ হয়ে ওঠার উচ্চাশা', এমনই দাবিই খোদ নীতীশ কুমারের 'খাস লোক' সাংসদ আলি আনওয়ার।
জেডি(ইউ) সাংসদ আলি আনওয়ার মনে করছেন, মোদীর বিকল্প হিসেবে নীতীশ কুমারের যে উত্থান গোটা দেশ বিগত বছরগুলোতে দেখতে পেয়েছিল তা একেবারে 'ব্ল্যাকআউট' হয়ে গেল। "মোদীর বিকল্প হতে পারতেন। মোদীর কথার চোখা চোখা জবাব দেওয়ার ক্ষমতা তাঁর ছিল। আমাদের যে ইমেজ এতদিন ধরে তৈরি হয়েছিল সেটা ভেঙে গেল। আমাদের পার্টির পুঁজিটাই হারালেন নীতীশজি", একটি জাতীয় টেলিভিশন চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে সাফ জানিয়েছেন জেডি(ইউ) সাংসদ আলি আনওয়ার। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ এও মনে করছে, বিহার রাজনীতি শেষ ৪৮ ঘণ্টায় যেদিকে মোড় নিয়েছে তাতে প্রতিপদে যেমন নিজেদের রাস্তা সুগম করেছে বিজেপি, স্বখাত সলিলে বিসর্জন ঘটেছে নীতীশ কুমারের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন। কয়েকদিনের মধ্যেই এনডিএ পরিচালিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাতেও ঠাঁই পাবে শরীক জেডি(ইউ), কিন্তু বিরোধী আসনে থেকে দেশের 'নম্বর ওয়ান' হয়ে ওঠার পথ নিজেই বুজিয়ে ফেললেন নীতীশ কুমার, মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।