ওয়েব ডেস্ক: এটাই বিহার, আর এটাই 'ভারতীয় রাজনীতির আসল ছবি'। রাতে পদত্যাগ, পরের দিন সকালেই ফের শপথ গ্রহণ। ২৬ জুলাই রাতে দুর্নীতি ইস্যুতে মহাজোটের বাঁধন ছিন্ন করে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন জনতা দল ইউনাইটেডের সুপ্রিমো নীতীশ কুমার। ১২ ঘন্টাও কাটল না, নীতীশ কুমার আরও একবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেন। ২০ মাসের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হলেন তিনি। বিজেপির বিরুদ্ধে জোট গড়ে সেবার  নীতীশ কুমারের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন লালু। আর এবার লালুপুত্রেরই দুর্নীতি ইস্যুতে নীতীশ কুমারের হাত শক্ত করল 'পুরনো বন্ধু' সেই বিজেপি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন বিহারের রাজভবনে দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠির সামনে শপথবাক্য পাঠ করেন নীতীশ কুমার। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার নীতীশ কুমারের সঙ্গেই বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন বিজেপি নেতা সুশীল মোদী। 


বিহার রাজনীতিতে জল্পনা চলছিল লালুপুত্র তথা বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের পদত্যাগ নিয়ে, আর পদত্যাগ করলেন কিনা মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এখানেই শেষ নয়, আছে আরও টুইস্ট! মহাজোট করে ২০ মাস আগে যে দলের বিরুদ্ধে ভোটে জিতে এলেন তিনি, ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই সেই 'বিরোধী' বিজেপির সমর্থনেই ফের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য রাজি হয়ে গেলেন নীতীশ কুমার। বিজেপির একাংশ নীতিশের এই উলটপুরাণকে 'ঘর ওয়াপসি' বলছেন। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত, এটি একটি পরিকল্পিত খসড়ার বাস্তবায়ন। যেটি শুরু হয়েছিল রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হিসেবে রামনাথ কোবিন্দকে সমর্থনের মধ্যে দিয়ে, আর শেষ হল বিহারে এনডিএ সমর্থিত সরকারের স্থাপনা করে।      


অনেকে আবার বিহারের এই রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে এই ভাবেও ব্যাখ্যা করছেন- 
এক. নীতীশ কুমার অবশেষে এটা মানতে বাধ্য হয়েছেন, 'মোদীই ভারতের একমাত্র মুখ'। 
দ্বিতীয়. বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এটাও আন্দাজ করতে পেড়েছেন, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিরোধীদের ন্যুনতম সুযোগও নেই। সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যে স্বপ্ন তিনি এতদিন ধরে দেখে আসছেন সেটা বাস্তবিক ক্ষেত্রে কার্যত অসম্ভব।