Bihar Politics: বিকেলে তেজস্বীর সঙ্গে রাজ্যপালের দরবারে নীতীশ! ইস্তফা দিয়েও কি মসনদে তিনিই?
মঙ্গলবার বিকেল ৪টে নাগাদ রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে নিজের ইস্তফাপত্র তুলে দিতে পারেন নীতীশ কুমার। তাঁর সঙ্গে থাকবেন আরজেডি নেতা তেজস্বি জাদব। বিধানসভা নির্বাচনের সময় আরজেডি-র সঙ্গে থাকা জোটসঙ্গিরাও এই নতুন জোটে সায় দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বর্তমানে, সিপিআই-এমএল, সিপিআই এবং সিপিআই(এম) এর মতো বাম দলগুলিও জোটের অংশ।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: খুব তারাতারি বিহারের রাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আশা করছেন মানুষ। রাজ্যপাল ফাগু চৌহানের সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। মঙ্গলবার বিকেলে এই মিটিং হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁর সঙ্গে রাজ্যপালের কাছে যেতে পারেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। একই সঙ্গে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে, রাজ্যের ভারতীয় জনতা পার্টির কোটার মন্ত্রীরা পদত্যাগ করতে পারেন। বিহারে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি কোটার ১৬ মন্ত্রীর বৈঠক শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির কোটার মন্ত্রীরাও রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছেন। এই ১৬ জন মন্ত্রী মঙ্গলবার রাজভবনে গিয়ে পদত্যাগ করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে বিজেপি নেতারা ডেপুটি সিএম তারকিশোরের সঙ্গেও দেখা করেন।
মহারাষ্ট্রে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলা জল্পনার অবসান হতে পারে মঙ্গলবার। আজ কয়েকজন মন্ত্রী শপথ নিতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, বিহারেও জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ) এবং ভারতীয় জনতা পার্টির মধ্যে বিচ্ছেদের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। মঙ্গলবার বিধায়ক ও সাংসদের বৈঠকে জেডিইউ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তারা এই জোট থেকে বেরিয়ে আসবে।
বিহারে জনতা দল ইউনাইটেড এবং ভারতীয় জনতা পার্টির মধ্যে জোট ভাঙার পথে। জানা গিয়েছে যে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবীর বাসভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নীতিশ কুমারের নাম অনুমোদন করা হয়েছে আরজেডি-র তরফে। তার নামের ব্যাপারে মহাজোটের সব নেতারাই একমত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টে নাগাদ রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে নিজের ইস্তফাপত্র তুলে দিতে পারেন নীতীশ কুমার। তাঁর সঙ্গে থাকবেন আরজেডি নেতা তেজস্বি জাদব। বিধানসভা নির্বাচনের সময় আরজেডি-র সঙ্গে থাকা জোটসঙ্গিরাও এই নতুন জোটে সায় দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বর্তমানে, সিপিআই-এমএল, সিপিআই এবং সিপিআই(এম) এর মতো বাম দলগুলিও জোটের অংশ।
আরও পড়ুন: Nitish Kumar vs BJP: ফের দল বদলাবেন নীতীশ? বিহারের রাজনীতিতে ফের পটপরিবর্তন?
২০১৭-র তুলনায় বর্তমানে জেডি(ইউ) অনেক দুর্বল হয়েছে। সেই সময় তাদের ৭১টি আসন ছিল। বর্তমানে তাদের আসন সংখ্যা মাত্র ৪৫। অন্যদিকে, আরজেডি আগের তুলনায় অনেকটাই শক্তিশালী হয়েছে। এখন তাদের আসন সংখ্যা ৮০তে দাঁড়িয়েছে।
নির্বাচনের সময় যেভাবে চিরাগ পাসোয়ানের এলজেপি রাজ্যের বাকি অংশে বিজেপিকে সমর্থন করে। বিধানসভা নির্বাচনের সময় জেডি(ইউ)-কে পরাজিত করার জন্য প্রার্থী দিয়েছিল এলজেপি। এতেই বিজেপির পরিকল্পনার স্পষ্ট ইঙ্গি পাওয়া যায় সি সময়। ফলে জেডি(ইউ) এর আসন সংখ্যা ব্যাপকভাবে হ্রাস পায় এবং বিজেপি ৭৭ আসন পর্যন্ত পৌঁছয়।