ইন্সপেক্টর খুনের ঘটনায় পুলিসের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নয়, সাফ জানালো যোগীর প্রশাসন
গতকাল বুলন্দশহরে গোরক্ষকদের তাণ্ডবে নিহত হন ইন্সপেক্টর সুবোধ কুমার সিং। তাঁর বোন দাবি করেন, দাদরির মহম্মদ আখলাখ খুনের তদন্তে ছিলেন সুবোধ কুমার। যার জেরেই মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি বোনের
নিজস্ব প্রতিবেদন: নিহত পুলিস আধিকারিক সুবোধ কুমার সিংয়ের পরিবার দাবি, খুনের ঘটনার পিছনে পুলিসের হাত রয়েছে। মঙ্গলবার, সংবাদিক বৈঠকে উত্তর প্রদেশের এডিজি (আইন ও শৃঙ্খলা) আনন্দ কুমার কার্যত সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, এই ঘটনায় কোনও সংস্থার ব্যর্থতা রয়েছে কিনা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। তবে তাঁর স্পষ্ট বার্তা, যতক্ষণ না তদন্ত সম্পূর্ণ হচ্ছে পুলিসের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হবে না।
আরও পড়ুন- কংগ্রেস চাইলেই করতারপুর সাহিব ভারতে থাকত, দাবি প্রধানমন্ত্রীর
গতকাল বুলন্দশহরে গোরক্ষকদের তাণ্ডবে নিহত হন ইন্সপেক্টর সুবোধ কুমার সিং। তাঁর বোন দাবি করেন, দাদরির মহম্মদ আখলাখ খুনের তদন্তে ছিলেন সুবোধ কুমার। যার জেরেই মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি বোনের। তবে, তিনি আরও বিস্ফোরক মন্তব্য করেন সংবাদমাধ্যমের কাছে। তাঁর অভিযোগ, খুনের পিছনের পুলিসের ষড়যন্ত্রও রয়েছে। এডিজি আনন্দ কুমার বলেন, চূড়ান্ত ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পরই সবিস্তারে বলা যাবে। প্রাথমিক ময়না তদন্তে সুবোধের দেহ থেকে .৩২মিমি বুলেট উদ্ধার করা হয়েছে। তবে, এই ঘটনার পিছনে কোনও সংগঠন জড়িত রয়েছে কিনা সে বিষয়ে অনিশ্চিত যোগীর পুলিস ডিপার্টমেন্ট।
উল্লেখ্য, এক ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, পুলিসের গাড়ি দরজা খোলা অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে রয়েছেন সুবোধ। বাঁ চোখে ভ্রুর তলায় বুলেটের গভীর ক্ষত। চারদিকে উত্তাল জনতা ছোটাছুটি করছে। ভিড়ের মাঝে ‘গুলি মারো’ বলে চিত্কার শোনা যাচ্ছে। কিন্তু আশপাশে পুলিসের দেখা মেলেনি। স্বভাবতই পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সুবোধ কুমারের ড্রাইভার জানিয়েছেন, গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিস ইন্কেসপেক্টরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় গাড়ি ঘিরে ধরে জনতা। জনতা এতটাই মারমুখী হয়েছিল, সেখান থেকে প্রাণে বাঁচাতে, পালাতে বাধ্য হন বলে স্বীকার করেন চালক রাম আশরে। প্রশ্ন উঠছে, আরও দুই পুলিস কর্মী থাকা সত্ত্বেও কীভাবে সুবোধকে বিপদের মুখে ফেলে পালিয়ে গেলেন তাঁরা। তবে, এডিজি আনন্দ কুমার দাবি করেছেন, এই ঘটনায় কোনও এজেন্সির ব্যর্থতা রয়েছে কিনা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন- গো-তাণ্ডবে হত ইন্সপেক্টর খুনের পিছনে রয়েছে যোগীর পুলিসই!
উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সুবোধ কুমারের পরিবারকে ৪০ লক্ষ টাকা, তাঁর মা-বাবাকে আরও ১০ লক্ষ টাকা এবং একজনকে সরকারি চাকরি দেওয়ার ঘোষণা করেন। সুবোধের বোন দাবি করেছেন, “আমাদের কোনও টাকার প্রয়োজন নেই। ভাইকে শহিদ ঘোষণা এবং তাঁর সম্মানে সৌধ তৈরি করার আর্জি জানাচ্ছি।”