বাতিল সর্বদল বৈঠকও, বিরোধীদের ক্ষোভ নিয়েই আগামিকাল থেকে শুরু বাদল অধিবেশন
সর্বদল বৈঠক না ডেকে অধিবেশন শুরু হওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিরোধীরা। এই বৈঠকে সাধারণত কোন কোন বিল পেশ করা হবে, তার একটা সর্বসম্মত খসড়া করা হয়
নিজস্ব প্রতিবেদন: আগামিকাল থেকে শুরু হচ্ছে বাদল অধিবেশন। কিন্তু তার আগে অধিবেশনের কার্যপ্রণালী নিয়ে যে সর্বদল বৈঠক হওয়ার কথা, তা বাতিল করলেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। গত দু'দশকে এ নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সরকারের এমন সিদ্ধান্ত বলে সূত্রে খবর।
বাদল অধিবেশন শুরু হওয়ার আগের থেকেই বেশ কিছু নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলে খবর। সংসদীয় প্রথা ভেঙে প্রশ্নোত্তর পর্ব বাতিল এবং জিরো আওয়ারের সময়সীমা ছাঁটাই করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। রবিবার বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটির বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
সর্বদল বৈঠক না ডেকে অধিবেশন শুরু হওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিরোধীরা। এই বৈঠকে সাধারণত কোন কোন বিল পেশ করা হবে, তার একটা সর্বসম্মত খসড়া করা হয়। কিন্তু এই বৈঠক না ডাকায় গণতন্ত্র বিরোধী বলে তোপ দাগেন বিরোধীরা। জানা যাচ্ছে, এই অধিবেশনে ২৩ বিল আনতে পারে কেন্দ্র। যার মধ্যে ১৭ টি পাশ করানোর চেষ্টা চালাবে সরকার। প্রশ্নোত্তর পর্ব প্রত্যাহার করলে বিরোধীদের বলার অধিকার খর্ব হবে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।
আরও পড়ুন- 'ঠিক সরকার নির্বাচন করলে সরকারি প্রকল্পের সুবিধে মানুষের কাছে পৌঁছায়, দেখিয়ে দিয়েছে বিহার'
লোকসভা এবং রাজ্যসভার অধিবেশন ভিন্ন সময়ে শুরু হবে। প্রথম দিন লোকসভার অধিবেশন শুরু হবে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা এবং বাকি দিনগুলি বিকেল ৩টে থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত। রাজ্যসভায় ঠিক তার উল্টো সময়ে অধিবেশন হবে। সাংসদরা দুই কক্ষে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসতে পারবেন। দুই কক্ষে বড় জায়ান্ট স্ক্রিন লাগানো হয়েছে। সংক্রমণ এড়াতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে কাগজের পরিবর্তে অনলাইনেই নথি পাবেন সাংসদরা।