নিজস্ব প্রতিবেদন: অসমে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি থেকে যাঁদের নাম বাদ পড়েছে তাঁদের ভোটদানে সমস্যা হবে না। বুধবার এ কথা জানালেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ওমপ্রকাশ রাওয়াত। তিনি জানান, জানুয়ারি মাসে ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে। চূড়ান্ত জাতীয় নাগরিক পঞ্জির জন্য কমিশন বসে থাকবে না। ফলে, নাম বাদ যাওয়া চল্লিশ লাখ ভোটারের লোকসভা নির্বাচনে ভোটদানে আর বাধা রইল না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

৩০ জুলাই (সোমবার) অসমে নাগরিক পঞ্জীর খসড়া প্রকাশিত হয়। দেখা যায়, ৩০ লক্ষ আবেদনকারী ঠাঁই পাননি সেই তালিকায়। এরপরই চরমে ওঠে উত্কণ্ঠা। নাগরিকত্বের প্রশ্নের পাশাপাশি ভোটাধিকার নিয়েও সংশয় তৈরি হয়। তাহলে কি এই ৪০ লক্ষের মধ্যে যেসব ব্যক্তি গত নির্বাচনে বোট দিতে পেরেছিলেন, তাঁরা এবার থেকে আর ভারতে ভোট দিতে পারবেন না? এই প্রশ্ন করা হলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং জানান, এই সিদ্ধান্ত নেবে দেশের নির্বাচন কমিশন। সেই প্রেক্ষিতেই ভারতের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বুধবার জানিয়ে দেন, যারা ভোট দিয়েছিলেন, তাঁরা ভবিষ্যতেও ভোট দিতে পারবেন। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে। আরও পড়ুন- দেশ তোলপাড় করা নাগরিকপঞ্জী আসলে কী, ‌যাদের নাম নেই কী হবে তাঁদের?


প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, এনআরসি খসড়া থেকে বাদ পড়া ৪০ লক্ষ মানুষের উপর কোনও রকম দমনপীড়ন বা জোরজুলুম করা যাবে না। এদিকে, এনআরসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে অসমের চূড়ান্ত নাগরিক পঞ্জী প্রকাশ করা হবে। সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য এই দাবির সামনে স্পষ্ট করে দিয়েছে যে গোটা বিষয়টি আদালতের পর্যবেক্ষণের মধ্যে রয়েছে। এছাড়া, সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত নাম বাদ পড়া ব্যক্তিরা আবেদন করতে পারবেন। ফলে, সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে এত বিপুল পরিমাণ তথ্য যাচাই প্রক্রিয়া কতটা ভালোভাবে সম্পন্ন করা যাবে, সেটাও ভেবে দেখতে হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। তাই যদি জিসেম্বরের মধ্যে এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ না পায়, সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে ভোটার তালিকা প্রকাশ করে দেবে। আর এ জন্য সাধারণত ভোটার তালিকায় নাম থাকার ক্ষেত্রে যা যা বিবেচ্য, সেগুলির উপরই নির্ভর করবে কমিশন। আরও পড়ুন- নেলির স্মৃতিতে ঝলসে উঠছে হিংসার অতীত, তাঁদের কি কোনও দেশ নেই!