ওয়েব ডেস্ক: কাশ্মীরে শান্তি ফেরাতে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে কথা নয়। সুপ্রিম কোর্টে সাফ জানিয়ে দিল কেন্দ্র। সরকারের অনড় অবস্থানের মধ্যে আজও রক্ত ঝরল উপত্যকায়। অনন্তনাগে ব্যাঙ্ক লুটের চেষ্টা করে জঙ্গিরা। গুলিতে আহত হন এক সিআরপিএফ জওয়ান। ধরা পড়ে যায় এক জঙ্গি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হুরিয়ত সহ সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা শুরু করুক সরকার। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমের কাছে এমনই দাবির কথা জানান জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। কেন্দ্রের ওপর চাপ বাড়িয়ে অটলবিহারী বাজপেয়ীর উদাহরণ টানেন তিনি। যদিও, শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে দিল্লি জানিয়ে দিল, এ পথে হাঁটবে না তারা। এদিন, প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতাগি বলেন, জম্মু-কাশ্মীরে শান্তি ফেরাতে সব স্বীকৃত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার তৈরি। কিন্তু, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে কথা শুরুর প্রশ্নই নেই।



উপত্যকায় ছররা বন্দুকের ব্যবহার বন্ধের আর্জি নিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন। সুপ্রিম কোর্ট এ দিন তাদেরই সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে শান্তির রাস্তা খোঁজার পরামর্শ দিয়েছে।



কুপওয়ারায় সেনা ছাউনিতে হামলার রেশ কাটার আগেই এ বার ব্যাঙ্ক লুটের চেষ্টা করল জঙ্গিরা। শুক্রবার, অনন্তনাগে জম্মু-কাশ্মীর ব্যাঙ্কের একটি শাখায় ঢুকে পড়ে দুই জঙ্গি। তাদের গুলিতে আহত হন আধা সেনার এক জওয়ান। এক জঙ্গিকে পুলিস ধরে ফেললেও অন্যজন পালিয়ে যায়। দু-হাজার পনেরোর নভেম্বরে জম্মু-কাশ্মীরের জন্য ৮০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার, রাজনাথ সিং-এর নেতৃত্বে এক উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকে ১৯ হাজার কোটি টাকা দিয়ে দেওয়ার কথা জানানো হয়। কেন্দ্র চেষ্টা করলেও উন্নয়নের মলমে কাশ্মীরের ক্ষতে কতটা প্রলেপ দেওয়া যাবে? উপত্যকার যুবসমাজকে কতদূর পর্যন্ত মূল স্রোতে ফেরানো সম্ভব হবে? এখন এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে গোটা দেশ। (আরও পড়ুন- মোদী ব্যবস্থা না নিলে আমিই প্রতিশোধ নেব, বললেন কুপওয়ারের শহীদ জওয়ানের মা)