নিজস্ব প্রতিবেদন: মুখ খুলেও ঢোঁক গিললেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবেগৌড়া। কর্নাটকের জোট সরকারের অন্তর্কলহ নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেন জনতা দল সেকুলার সুপ্রিমো। বেঙ্গালুরুতে এক সাংবাদিক বৈঠকে দেবেগৌড়া বলেন, “কোনও সন্দেহ নেই, অন্তর্বর্তীকালীন নির্বাচন খুব শীঘ্রই আসতে চলেছে। তারা (কংগ্রেস) বলেছিল পাঁচ বছর আমাদের সমর্থন করবে। কিন্তু দেখুন তাদের আচারণ।”


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


জেডিএস-র প্রবীণ নেতা দেবেগৌড়া আরও বলেন, “মানুষ সবই দেখছে। আমরা জোট সরকার চাইনি। কুমারস্বামীকে মুখ্যমন্ত্রী করতেও চাইনি। তারই আমাদের সরকার গড়তে আহ্বান জানায়। আমরা কাজ চালিয়ে যেতে চাই। এর জন্য কাউকে দোষারোপ করতে চাই না।” ৮৬ বছর বয়সী প্রবীণ নেতার এমন মন্তব্যে রীতিমতো জল্পনা তৈরি হয় রাজনৈতিক মহলে। ফের নির্বাচন হওয়ার কথা বলেন খোদ সরকারে থাকা জেডিএস-এর সুপ্রিমো। এর ফলে কংগ্রেস ও জেডিএস-এ মধ্যে অন্তর্কলহ প্রকাশ্যে চলে এল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।  


আরও পড়ুন- মোদীর সঙ্গে সাক্ষাত করেই ‘নরম সুর’ কেজরীবালের গলায়!


গত বছর কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি সংখ্যার নিরিখে এগিয়ে থাকলেও সরকার গড়তে ব্যর্থ হয়। কংগ্রেস এবং জেডিএস মিলে সরকার তৈরি করে। গোড়া থেকেই টালমাটাল অবস্থা এই জোট সরকারের। মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীকে এক সময় বলতে বাধ্য হন, জেনে শুনে তিনি বিষপান করেছেন। আজ সেই সুরই প্রতিধ্বনি হল বাবা এইচডি দেবেগৌড়ার গলাতেও। তবে, এই মন্তব্য করার পর নিজেকে সামলে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামেন তিনি। বলেন, “আমি স্থানীয় নির্বাচনের কথা বলেছি। রাজ্যের নির্বাচন নয়। কংগ্রেস ও জেডিএস-এর মধ্যে ভাল সম্পর্ক রয়েছে।” আগামী ৪ বছর একসঙ্গে কাজ করার কথা বলেন তিনি।


উল্লেখ্য, সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস-জেডিএস জোট অত্যন্ত শোচনীয় ফল করে। ২৮টি আসনের ২৫টি দখল করে বিজেপি। কংগ্রেস-জেডিএস ফাটল প্রকাশ্যে আসায় বিজেপি আরও রাজনৈতিক ফায়দা মিলতে পারে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। প্রথম থেকেই দল ভাঙানোর অভিযোগ রয়েছে বিজেপির বিরুদ্ধে। ‘অপারেশন লোটাস’ চালিয়ে কংগ্রেস ও জেডিএস-র মধ্যে বিজেপি চিড় ধরানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ।