নিজস্ব প্রতিবেদন: আশঙ্কাই সত্যিই হল! আগামী ২৬ মার্চ পর্যন্ত মধ্য প্রদেশ বিধানসভার অধিবেশন স্থগিত করে দিলেন অধ্যক্ষ। কিন্তু কী কারণে অধিবেশন স্থগিত রাখা হল স্পষ্ট করে বলা হয়নি। করোনা আতঙ্কে রাজ্য জুড়ে স্কুল-কলেজ-সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে, তার আঁচ বিধানসভাতেও পড়ল বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। এই সুযোগে কিছুটা হাঁফ ছেড়ে বাঁচল কমলনাথের সরকারও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হাতে সংখ্যা নেই, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের গলায় ছিল প্রত্যয়ী সুর। বলেছিলেন, দেখা যাক সোমাবর। অল ইজ ওয়েল। আন্দাজ করা গিয়েছেল, করোনা আতঙ্ককে ব্যবহার করতে পারেন কমল নাথ। এ দিন রাজ্যপাল লালজি ট্যান্ডন প্রথাগত ভাবে দীর্ঘ বক্তৃতা না রেখে বিধানসভায় শুধু মাত্র বলে গেলেন, “সংবিধান মেনে কাজ করুন, মধ্য প্রদেশের মর্যাদা সুরক্ষিত করা খুব জরুরী।“


আরও পড়ুন- ইয়েস ব্যাঙ্ক কাণ্ডে রিলায়্যান্স গ্রুপ কর্তা অনিল অম্বানিকে তলব করল CBI


কংগ্রেস তার বিধায়কদের জয়পুর থেকে ভোপালে নিয়ে আসে এ দিন। সংবাদমাধ্যমে এমন খবরও প্রকাশ হয়ে, ওই বিধায়কদের মধ্যে ২ জনের করোনা সংক্রমণ লক্ষণ মিলেছে। এই তথ্যের কতটা ভিত্তি আছে জানা না গেলেও সূত্রে খবর, হরিয়ানা, বেঙ্গালুরুতে থাকা বিধায়কদের পরীক্ষা করা হতে পারে।


কমল নাথের হাতে আরও ১০দিন সময়। সংখ্যা না থাকলেও শেষ পর্যন্ত কমল নাথ বলেছেন, চিন্তার কিছু নেই। সরকার তাদের হাতেই থাকবে। কিন্তু কোন উপায়ে? কমল নাথ এখন ৯৯ বিধায়ক নিয়ে সংখ্যালঘু সরকার চালাচ্ছেন। যার মধ্যে কংগ্রেসের বিধায়ক রয়েছে মাত্র ৯২। ৩১ মার্চের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতেই হবে। কারণ, এ দিনের মধ্য়ে বাজেট পেশ করতে হবে। অন্য দিকে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার সঙ্গে বৈঠক করেন জিত্যোরাদিত্য- শিবরাজ সিংরা। সোমবার ফয়সলা না হলে আদালতে দ্বারস্থ হতে পারেন তাঁরা।