নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারত এখনও পর্যন্ত এমন কোনও ইঙ্গিত দেয়নি, যাতে মনে করা যায়, সে বড় আকারের লকডাউনের কথা ভাবছে। ক'দিন আগে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এই মর্মে সরকারের মনোভাব জানিয়েও দিয়েছেন। যদিও তার পর থেকেই ক্রমশ কোভিড পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে দেশে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অবশ্য লকডাউনের (Lockdown) ইঙ্গিত ছিল। তবে তা ছোট আকারে। যেমন জেলা স্তরে হতে পারে। 'লকডাউন'কে সরাসরি 'লকডাউন' না বলে অন্য কোনও নামে ডেকেও তা লাগু করা হতে পারে বিভিন্ন রাজ্যে। তবে এটা পরিষ্কার ছিল, দেশ জুড়ে কঠোর লকডাউন আর হবে না।


কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Finance Minister Nirmala Sitharaman) গত সপ্তাহেই বলেছিলেন, কোভিড অতিমারীর (Pandemic)দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়লেও, কেন্দ্রীয় সরকারের স্পষ্ট নীতি, বড় মাপের লকডাউন হবে না। তাঁর যুক্তি ছিল, সরকার কোনও ভাবেই অর্থনীতির (economy) চাকা পুরোপুরি আটকে দিতে চায় না।


আরও পড়ুন: '১৮-র ঊর্ধ্বে টিকায় দেরি, পরিস্থিতি বুঝে গা বাঁচানোর চেষ্টা', Modi-কে কড়া চিঠি Mamata-র


যদিও তাঁর এই মন্তব্য়ের পরে গত এক সপ্তাহে পরিস্থিতির অনেকটাই অবনতি হয়েছে। সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত হিসেব বলছে, তার আগের ২৪ ঘণ্টায় কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৭৩ হাজারেরও বেশি মানুষ! মারা গিয়েছেন ১৬১৯ জন। এক সপ্তাহ আগেই এই সংখ্যাটা ছিল এর অর্ধেকের মতো।


যদিও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব গত ৩০ মার্চ রাজ্যগুলিকে কোভিড ভাইরাসের 'চেন অফ ট্রান্সমিশন' আটকাতে কমপক্ষে ১৪ দিনের 'কন্টেনমেন্ট জোন' (containment zone) জরুরি বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন। এবং তার পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে থাকা রাজ্যগুলির স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং একই সুরে তাদের পরামর্শ দিয়েছেন। 


প্রসঙ্গত, নতুন ভাবে পরিকল্পনা করা এই কন্টেনমেন্ট জোন একটি গোটা জেলায় হতে পারে, হতে পারে শহর জুড়েও!


আরও পড়ুন: নষ্ট ৪৪ লক্ষ কোভিড ভ্যাকসিন! অপচয়ের নিরিখে শীর্ষে তামিলনাড়ু, তবে 'গুড বুকে' বাংলা