নিজস্ব প্রতিবেদন: বিজয় মালিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিন্দুমাত্র শৈথিল্য দেখায়নি স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। শুক্রবার দেশের সর্ববৃহত্ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের তরফে এক বিবৃতি জারি করে এ কথা জানানো হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দেশ ছাড়ার আগে ভারতের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গে বৈঠক করে ঋণ পরিশোধের বিষয়ে মীমাংসা করতে চেয়েছিল বলে বুধবার লন্ডনে জানায় বিজয় মালিয়া। ঋণখেলাপি ব্যবসায়ীর এমন বিস্ফোরক দাবিতে তুমুল আলোড়ন তৈরি হয় দেশ জুড়ে। বিরোধী দলগুলির লাগাতার আক্রমণের মুখে বিবৃতি জারি করে মালিয়ার দাবি নস্যাত্ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। কিন্তু, তাতে বিতর্ক থামার কোনও লক্ষণ নেই। এরপরই প্রশ্ন উঠতে থাকে, লুক আউট নোটিশ জারি থাকা সত্ত্বেও কীভাবে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেল লিকার ব্যারন? বিরোধীদের অভিযোগ, মোদী সরকারই মালিয়াকে পালাতে সাহায্য করে দিয়েছে। এমতাবস্থায় বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই জানায় লুক আউট নোটিস জারি হয়, তবে কয়েক সপ্তাহ পর এমনিতেই তা 'লঘু' হয়ে গিয়ে 'রিপোর্ট অন অ্যারাইভাল'-এ পরিণত হয়। পাশাপাশি, সিবিআই-এর আরও দাবি, ব্যাঙ্কগুলির তরফ থেকে কোনও প্রথাগত অভিযোগ জমা না পড়ায় তারাও মনে করেনি যে মালিয়া দেশ ছেড়ে পালাতে পারে। সিবিআই-এর এমন দাবির প্রেক্ষিতেই এদিন বিবৃতি জারি করল এসবিআই। আরও পড়ুন- জেটলি-মালিয়া বৈঠকের সাক্ষী কংগ্রেস নেতা, বিস্ফোরক দাবি রাহুলের


১৭টি ব্যাঙ্কের কনসর্টিয়াম থেকে মোট ৯ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল বিজয় মালিয়ার কিংফিশার এয়ারলাইন্স। এই ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কগুলির মধ্যে নেতৃত্ব দিয়েছিল এসবিআই। এখন বলা হচ্ছে, মালিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে শৈথিল্য দেখিয়েছিল ব্যাঙ্কগুলি। মালিয়া যাতে দেশ ছেড়ে যেতে না পারে, সে জন্য ব্যাঙ্কগুলিকে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, ব্যাঙ্কগুলি মালিয়া দেশ ছাড়ার (২ মার্চ'২০১৬) চার দিন পর আদালতে গিয়েছিল।


এসবিআই-এর এ দিনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "কিংফিশার-সহ ঋণখেলাপের মামলাগুলিতে পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বা এই সংস্থার কোনও কর্মীর কোনও রকম শৈথিল্য নেই। অনাদায়ী টাকা আদায়ের জন্য ব্যাঙ্ক অত্যন্ত কার্যকারী এবং কড়া পদক্ষেপ করেছে"। উল্লেখ্য, এক খোলা চিঠিতে মালিয়া লিখেছিলেন, তার সংস্থার অর্থনৈতিক ইতিবৃত্ত জানার পরও ব্যাঙ্ক সংস্থাকে ঋণ দিয়েছে। তবু, তাকেই ঋণখেলাপের 'পোস্টার বয়' বানানো হল। এ ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কগুলিরও যথেষ্ট দায়িত্ব থেকে যায়।