নিজস্ব প্রতিবেদন: ফের বিরোধীদের মহাজোটে ধাক্কা! এমনই ইঙ্গিত দিলেন আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরীবাল। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল বলেন, জোট করতে অস্বীকার করেছে কংগ্রেসই। এমনকি একাধিকবার আলোচনা চালিয়েও কংগ্রেসকে রাজি করানো যায়নি বলে এ দিন দাবি করেন অরবিন্দ। তিনি আরও বলেন, “সব দরজাই এখন বন্ধ। আমরা একা লড়ার পথে হাঁটার পরিকল্পনা করছি।”


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- মোরাদাবাদ থেকে রবার্ট বঢরাকে ভোটে লড়ার প্রস্তাব, পোস্টার যুব কংগ্রেসের


পশ্চিমবঙ্গে প্রথম থেকেই ভোটে একা লড়ার বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও জাতীয় স্তরে জোটে সর্বতোভাবে সাহায্যের আশ্বাসও দেন তিনি। তবে, পাল্টা বাংলায় একা লড়ার ইঙ্গিত দেয় কংগ্রেস হাইকম্যান্ডও। উত্তর প্রদেশেও দৃশ্যত এক ছবি! অখিলেশ যাদব ও মায়াবতী যখন কংগ্রেসকেই ছাড়াই জোটের বার্তা দিয়েছেন, পাল্টা প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে ভোটের ময়দানে নামিয়ে জমি পোক্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে কংগ্রেস। সেখানেও কংগ্রেস একাই লড়ছে।


অরবিন্দ কেজরীবাল এ দিন বলেন, দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করছেন মোদী-অমিত শাহ। দেশের ঐক্য নষ্ট করা হচ্ছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তৈরি করা হচ্ছে বিদ্বেষের পরিবেশ। বিজেপিকে রুখতে আমাদের কিছু একটা করা দরকার। তবে, কংগ্রেসের প্রতি আমাদের কোনও ভালবাসা নেই। কংগ্রেস যে মহাজোটে থাকছে না এ দিন একাধিক বার সেই কথাই উচ্চারণ করেন কেজরীবাল।


আরও পড়ুন- পুলওয়ামা ঘটনায় অজিত দোভালকে জেরা করলেই বেরোবে আসল সত্য: বিস্ফোরক রাজ ঠাকরে


উল্লেখ্য, কংগ্রেসকে হটিয়েই ২০১৩ সালে দিল্লির তখতে বসেন আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরীবাল। কংগ্রেসের সমর্থনেই ৪৯ দিন সরকার চালায় আপ। তবে, লোকপাল বিলে কংগ্রেসের সমর্থন না মেলায় সরকার থেকে ইস্তফা দেয় তাঁর দল। এর পর ২০১৫ সালে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে ফের ক্ষমতা ফেরেন অরবিন্দ কেজরীবাল। তখন কংগ্রেসের ভাগ্যে একটি আসনও জোটেনি।