`স্বামীর সঙ্গে ঘর করতে চাই`, বিচার চেয়ে দাবি হাদিয়ার
৩০ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে জানায়, হাদিয়া একজন প্রাপ্তবয়স্ক। তাই এই মামলায় তাঁর বক্তব্য শোনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আদালতে সশরীরে হাজিরা দিয়ে কীভাবে ও কেন সে একজন মুসলিম ব্যক্তিকে বিয়ে করেছিল তা জানাতে হবে বলে নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত।
নিজস্ব প্রতিবেদন : তাঁকে কেউ জোর করে ধর্মান্তিরত করেনি। তিনি নিজের ইচ্ছাতেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। স্বামী শেফিন জাহানের সঙ্গে ঘর করতে চান তিনি। দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে কোচি বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে স্পষ্ট একথাগুলোই বললেন হাদিয়া। একইসঙ্গে চাইলেন 'সুবিচার'।
'লাভ জিহাদ' বিতর্কে ইতিমধ্যেই সারা দেশে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে হাদিয়ার ঘটনা। হাদিয়ার পরিবারের অভিযোগ, তাদের মেয়ে 'অখিলা'কে বিয়ে করে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। যদিও সেই অভিযোগ মানতে নারাজ খোদ মেয়েই। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে হাদিয়ার মামলার শুনানি। শনিবার বাবা, মায়ের সঙ্গে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে কোচি বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে হাদিয়া বলেন, "আমি একজন মুসলিম। আমি আমার নিজের ইচ্ছেতে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছি। আমাকে কেউ জোর করে ধর্মান্তরিত করেনি। আমি বিচার চাই। আমি আমার স্বামীর সঙ্গে থাকতে চাই।" যদিও এর পরে পুলিসের নির্দেশ অনুসারে আর সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বাড়াতে রাজি হয়নি হাদিয়া।
তাঁদের মেয়েকে জোর করে বিয়ের পর ধর্মান্তরিত করা হয়েছে, এই অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন হাদিয়ার বাবা, মা। অভিযোগের প্রেক্ষিতে চলতি বছর মে মাসে কেরল হাইকোর্ট হাদিয়ার বিয়েকে অবৈধ ঘোষণা করে এবং হাদিয়াকে তাঁর বাবা-মায়ের কাছে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে পাল্টা আবেদন করেন হাদিয়ার ২৬ বছরের স্বামী শেফিন জাহান।
আরও পড়ুন, 'কাসভ মশা, বন্দুক থাকলে আদালতেই গুলি করে মারতাম'
৩০ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে জানায়, হাদিয়া একজন প্রাপ্তবয়স্ক। তাই এই মামলায় তাঁর বক্তব্য শোনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আদালতে সশরীরে হাজিরা দিয়ে কীভাবে ও কেন সে একজন মুসলিম ব্যক্তিকে বিয়ে করেছিল তা জানাতে হবে বলে নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। সেই নির্দেশ অনুযায়ী সোমবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি। বর্তমানে বাবা, মায়ের সঙ্গেই রয়েছে হাদিয়া।