জিরো হিংসা, দেশের দৃষ্টান্ত উত্তর প্রদেশ - ভোটের মুখে `রেজাল্ট` যোগীর প্রশাসনের
যোগী আদিত্যনাথ দাবি করেছেন, অপরাধ দমনে নজিরবিহীন সাফল্য মিলেছে। পুলিসি এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে ৭৩ দুষ্কৃতীর
নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা ভোটের মুখে নিজের রাজ্যের খতিয়ান তুলে ধরলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তাঁর এই ‘রিপোর্ট কার্ডে’ বলা হয়েছে গত দু’বছরে একটাও ‘দাঙ্গা’ হয়নি। এমনকি, অপহরণ, অ্যাসিড হামলার মতো ঘটনাও ঘটেনি তাঁর ক্ষমতাকালে। মঙ্গলবার রিপোর্ট কার্ড প্রকাশের সময় গত সরকারের দুর্নীতি, অরাজকতার উদাহরণও টেনে আনেন যোগী আদিত্যনাথ।
উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৭ সালের মার্চে সরকারে আসার আগে লুঠ, অপহরণ, কৃষক আত্মহত্যার মতো সমস্যায় জর্জরিত ছিল রাজ্য। রিপোর্ট কার্ড পেশ করে আদিত্যনাথ দাবি করেন, ২০১২-তে ২২৭, ২০১৩-তে ২৪৭, ২০১৪-তে ২৪২, ২০১৫-তে ২১৯ এবং ২০১৬-তে একশোর মতো সাম্প্রদায়িক হিংসা ঘটে। তবে, যোগী ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নজির তৈরি হয় বলে দাবি তাঁর। যোগী বলেন, দেশের কাছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় মডলে উত্তর প্রদেশ।
আরও পড়ুন- তিন-চার বছর যায়নি ইতালি, এ বার যাওয়া উচিত, বিজেপিকে কটাক্ষ প্রিয়ঙ্কার
যোগী আদিত্যনাথ দাবি করেছেন, অপরাধ দমনে নজিরবিহীন সাফল্য মিলেছে। পুলিসি এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে ৭৩ দুষ্কৃতীর। তবে, এ-ও স্বীকার করেন অভিযান চালাতে গিয়ে আধ ডজন পুলিস শহিদ হন।
যোগী আদিত্যনাথ রাজ্যে শান্তির বাতাবরণের দাবি করলে একাধিক হিংসার উদাহরণ রয়েছে সাম্প্রতিককালে। গত বছর ডিসেম্বরে গোমাংস থাকা সন্দেহে ভয়াবহ হিংসা ছড়ায় বুন্দেলশহরে। প্রায় ৪০০ উন্মত্ত জনতার মুখে পড়ে নিহত হন পুলিস অফিসার সুবোধ কুমার। এই ঘটনার সঙ্গে বজরং দলের নেতা-সহ হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের একাধিক কর্মী জড়িত ছিলেন বলে প্রমাণ মিলেছে পুলিসি তদন্তে। গত বছর জানুয়ারিতে ‘তিরঙ্গা যাত্রা’ অনুষ্ঠান চলাকালীন হিন্দুত্ববাদীদের রোষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ২২ বছরের এক যুবক। গোমাংস পাচার সন্দেহে গণপিটুনির মতো একাধিক ঘটনা ঘটেছে উত্তর প্রদেশে। যোগীর রিপোর্ট কার্ড প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার কটাক্ষ, তাঁর রিপোর্ট কার্ডের সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিল নেই।