নিজস্ব প্রতিবেদন: পরনে দামি শাড়ি, জামাকাপড়। কিন্তু মুখে মাস্কের বালাই নেই। পর পর গাড়িতে করে সুসজ্জিত ফার্ম হাউসে প্রবেশ করতে দেখা গেল অতিথিদের। প্রায় জনা ৩০। লকডাউনের মধ্যেই নিকটাত্মীয়দের বাড়িতে নিমন্ত্রণ করে ছেলে নিখিলের বিয়ে দিলেন কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারাস্বামী। কনে প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা এম কৃষ্ণাপ্পার মেয়ে রেবতী। অতিথিদের তালিকায় পরিবারেরই সদস্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়া জনপ্রতিনিধি হয়েও তাঁরা করোনাভাইরাস লকডাউনের মধ্যেও কীভাবে বিয়েবাড়ি আয়োজন করলেন, তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা। বিয়ের অনুষ্ঠানের ছবিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কোনও সামাজিক দূরত্ব বা অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি যে মানা হচ্ছে না সেই ছবি থেকেই স্পষ্ট। মাস্কেরও বালাই নেই কারও মুখে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন— কীসের লকডাউন! ষাঁড়ের শেষকৃত্যে কয়েকশো মানুষের জমায়েত


তবে, আরও বড় আয়োজন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাস লকডাউনের পরিস্থিতিতে সেসব বাতিল করতে বাধ্য হন কুমারাস্বামী। তবে বিয়ের দিন বদল হচ্ছে না বলে জানান তিনি। নিকটাত্মীয়দের নিয়েই ঘরোয়াভাবে বিয়ের আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছিলেন কুমারাস্বামী। কিন্তু নিকটাত্মীয়দের সংখ্যা যে বিধিবদ্ধ ৫ জনের চেয়ে অনেকটাই বেশি তা বলাই বাহুল্য।বিশেষজ্ঞদের মতে কোনও স্থানে খুব প্রয়োজন না হলে এক সঙ্গে বেশি মানুষ জড়ো না হওয়াই ভাল। ৫ জনের বেশি কোনও স্থানে জমায়েত করার বিষয়েও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। সেখানে প্রায় ২৫-৩০ জন বিভিন্ন স্থান থেকে এসে বিয়েবাড়িতে যোগ দেওয়া কতটা নিরাপদ তাই নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। টুইটারে অনেকেই এভাবে সামাজিক দূরত্ব লঙ্ঘণ করে সংক্রমণের সম্ভাবনা বৃদ্ধির তুমুল সমালোচনা করেছেন। অনেকে অতিথিদের সকলের কোয়ারেন্টাইনেরও দাবি তুলেছেন।