নিজস্ব প্রতিবেদন: মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকে নয়া শিক্ষা নীতির খসড়া গৃহীত হওয়ার পরই জোর বিতর্ক তৈরি হয়। সূত্রে খবর, খসড়ায় বলা হয়েছে, দেশজুড়ে হিন্দি ভাষাকে বাধ্যতামূলক করা হবে। এ নিয়ে বিশেষ করে দক্ষিণী রাজ্যগুলি একজোট হয়ে সরব হয়। এ দিন তিরুঅন্তপুরমের কংগ্রেসের সাংসদ শশী থারুরও কেন্দ্রের এই নীতির সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, তিন ভাষার ফরমুলাকে ভালভাবে প্রয়োগের প্রয়োজন। তাঁর দাবি, দক্ষিণে দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে হিন্দি শেখানো হয়, কিন্তু উত্তর ভারতে তামিল বা মালয়ালম শেখানো হয় না। অর্থাত্ শশী থারুর স্পষ্ট করে দিয়েছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এই ফরমুলা প্রয়োগ হলে হিতে বিপরীত হবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


যদিও, মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিওয়াল নিশঙ্ক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নয়া শিক্ষা নীতির খসড়া শুধুমাত্র গৃহীত হয়েছে। এটি কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়। তিনি আরও বলেন, নরেন্দ্র মোদীর সরকার কোনও আঞ্চলিক ভাষার মর্যাদা হানি করার পক্ষে নয়। সব ভাষার প্রতি সম্মান জানিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।


আরও পড়ুন- দু’বার জন্ম কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর! স্বীকার করে নিলেন নিজেই


উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে কেন্দ্রের কাছে নয়া শিক্ষা নীতির খসড়া তুলে দেয় কস্তুরীরঙ্গনের নেতৃত্বে একটি কমিটি। সেখানে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত হিন্দি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতেই তেতে উঠেছে তামিলনাড়ু। এছাড়া অ-হিন্দিভাষী বেশ কিছু সংগঠন এতে প্রতিবাদ করে। এদিকে, বিষয়টি জটিল হচ্ছে টের পেয়ে শনিবার আসরে নামলেন কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিওয়াল। তিনি বলেন, কোনও ভাষা কারও ওপরে চাপিয়ে দেওয়া হবে না। এখটি খসড়া জমা পড়েছে মাত্র। তা মন্ত্রিসভায় যাবে। হিন্দি নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই।