নিজস্ব প্রতিবেদন- প্রথম ভারতীয় মহিলা মহাকাশচারী তিনি। নাসা তাই তাঁর নাম ব্রক্ষ্ণাণ্ডে অমর করে রাখতে চেয়েছিল। সাহস আর পেশার প্রতি ভালবাসাই তাঁকে মৃত্যুর পরও মানুষের মনে জীবিত রেখেছে। ১৯ নভেম্বর ১৯৯৭ সালে কল্পনা চাওলা প্রথমবার মহাকাশে পাড়ি দেন। তখন তাঁর ৩৫ বছর বয়স। ছজন সঙ্গীকে নিয়ে ১.০৪ কোটি মাইল পাড়ি দিয়েছিলেন কল্পনা। কলম্বিয়া STS-87 মহাকাশযানে চড়ে তাঁরা রওনা হয়েছিলেন সেবার ৩৭২ ঘণ্টা মহাকাশে ছিলেন কল্পনা ও তাঁর ছয় সঙ্গী। এর পর ২০০৩ সালে ফের মহাকাশ যাত্রা করেন কল্পনা ও ছজন সঙ্গী। কিন্তু সেই যাত্রাতেই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান কল্পনা ও তাঁর ছজন সঙ্গী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০০৩ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি ঘটেছিল সেই ভয়বাহ দুর্ঘটনা। মিশন সফল হওয়ার পর ফিরছিলেন কল্পনা ও তাঁর সঙ্গীরা। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার পরই তাঁদের মহাকাশযান ভেঙে পড়ে। সেই মহাকাশযানের ধংসাবশেষ ও যাত্রীদর দেহাবশেষ টেক্সাসে পাওয়া গিয়েছিল। ওই ভয়াবহ দুর্ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা বিশ্বকে। মিশন সফল হলেও পৃথিবীতে আর ফিরে আসতে পারেননি কল্পনা ও তাঁর সঙ্গীরা। তবে বিশ্ববাসী তাঁদের মনে রেখেছে। এবার তাই কল্পনা চাওলার নামে হচ্ছে স্পেসস্টেশন। এয়রোস্পেস সংস্থা নর্থরোপ গ্রুমেন কর্পোরেশন তাদের সিগনেস স্পেসক্রাফ্ট-এর নাম রাখবে কল্পনার নামানুসারে। প্রয়াত ভারতীয় মহাকাশচারীকে সম্মানজ্ঞাপনে তাদের এই সিদ্ধান্তের কথা নিজেদের ফেসবুক পেজে জানিয়েছে নাসা। 


আরও পড়ুন-  চুশুলের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পাহাড়ি এলাকায় ঘাঁটি শক্ত করল সেনা


১৯৬২ সালে হরিয়ানার কর্নেলে জন্মগ্রহণ করেছিলেন কল্পনা। চার ভাই-বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সব থেকে ছোট। পাঞ্জাব ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে এরোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনার পর ১৯৮২ সালে তিনি আমেরিকায় পাড়ি দেন। নিজের স্বপ্নগুলোকে বাস্তবের রূপ দিতে চেয়েছিলেন কল্পনা। আর তাই নাসা-য় যোগ দেন ১৯৮৮ সালে। নাসা-র রিসার্চ সেন্টারে যোগ দিয়েছিলেন কল্পনা। এর পর ১৯৯৫ সালে তিনি নাসার মহাকাশযাত্রীদের কোর টিম-এ সামিল হন তিনি। আট মাসের প্রশিক্ষণ শেষে তিনি ১৯৯৭ সালে প্রথমবার মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন।