নিজস্ব প্রতিবেদন: হায়দরাবাদ এনকাউন্টার নিয়ে দ্বিবিভক্ত বিজেপি।  এই ঘটনা পুলিসের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করল তেলঙ্গানার বিজেপি। বিবৃতি দিয়ে বিজেপির তরফে জানানো হয়, রাজ্যের দায়িত্বশীল বিরোধী হিসাবে দাবি, সরকার এবং ডিজিপি সাংবাদিক বৈঠক করে ঘটনার ব্যাখ্যা দিক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিজেপির তরফে আরও জানানো হয়েছে, ধর্ষণ ও পুড়িয়ে খুন বর্বরোচিত ঘটনা। দল এই ঘটনার তীব্র বিরোধিতা করছে। দোষীদের শাস্তির দাবিতে সরকারের কাছে বরাবরই চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। ভারত অরাজকতার দেশ নয়। সংবিধান এবং আইন রয়েছে। পুলিস আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি দেওয়ার পরই বিজেপি তার প্রতিক্রিয়া জানাবে।বিজেপি সাংসদ মানেকা গান্ধীও হায়দারাবাদ এনকাউন্টারের সমালোচনা করেন। এই ঘটনাকে ভয়ঙ্কর বলে ব্যাখ্যা করেন তিনি।


মানেকার অভিযোগ, এভাবে মানুষকে হত্যা করে পুলিস নিজের হাতে আইন নিতে পারে না। অভিযুক্তদের ফাঁসি হওয়া উচিত। কিন্তু আদালতে বিচারপ্রক্রিয়ার মাধ্যমেই। অন্যদিকে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী রাজ্যবর্ধন রাঠোর পুলিসের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “পুলিসের মতোই কাজ করেছে তেলেঙ্গানার পুলিস।” আজ কাকভোরে পুলিসের গুলিতে খতম চার অভিযুক্তই। ঘটনা পুনর্নির্মাণের সময়ে পালানোর চেষ্টা করে তারা। এরপরই তাদের ধাওয়া করে এনএইচ ৪৪ -এর ওপর গুলি চালায় পুলিস। যেখানে তরুণীর দেহ মিলেছিল তার খুব কাছেই হয় এনকাউন্টার (Encounter)।



আরও পড়ুন- "কেন গুলি করা হল খতিয়ে দেখতে হবে," হায়দরাবাদ এনউন্টারে তদন্তের দাবি দিলীপ ঘোষের


৮ নভেম্বর, হায়দরাবাদ থেকে ৫০ কিমি দূরে নৃশংস ঘটনাটি ঘটে। কোল্লুরু গ্রামের বাড়িতে ফেরার সময় রাত ৯টা নাগাদ সামশাবাদের তন্দুপল্লি টোল প্লাজার কাছে স্কুটির টায়ার ফেটে যায় ওই পশু চিকিত্সকের।  ২৯ নভেম্বর  ওই টোল প্লাজা থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে শাদনগরে চাতানপল্লি সেতুর কাছে তরুণী চিকিত্সকের পোড়া দেহ উদ্ধার হয়। পুলিসের অনুমান ছিল, গণধর্ষণের (accused in the rape and murder) পর তাঁকে পুড়িয়ে দেওয়া হয় ।