নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রতিশ্রুতি ভাঙা আর মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া এক নয়। তাই বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের পর বিয়ে করতে অস্বীকার করলেই কোনও ব্যক্তিকে অপরাধী গণ্য করা যাবে না। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে আদালতের অবস্থান পরিষ্কার করল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



আইন অনুসারে, কোনও ব্যক্তি বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে সহবাস করলে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অপরাধ ধার্য্য হয়। আইনটিকে ব্যাখ্যা করে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, এ ধরনের মামলায় প্রতিটি ক্ষেত্রে কোনও ব্যক্তির প্রতিশ্রুতি মিথ্যা বলে ধরে নেওয়া যায় না। প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরে কোনও কারণে কোনও ব্যক্তি বিয়ে করতে অস্বীকার করতেই পারেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি ভবিষ্যতে প্রতারণার পরিকল্পনা নিয়েই মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে সহবাসের সম্মতি আদায় করে, তবেই সেটা অপরাধ। কিন্তু বিয়ের পরিকল্পনা নিয়েও পরে কোনও কারণে সেই প্রতিশ্রুতিতে অনড় থাকতে না পারলে সেটি অপরাধ নয়।


ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ নম্বর ধারা ব্যাখ্যা করে বলা হয়, কোন পরিস্থিতিতে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে তা গুরুত্বপূর্ণ। অভিযোগকারিণী কি শর্তে সম্মতি দিয়েছেন দুই পক্ষকে তারও প্রমাণ পেশ করতে হবে আদালতের কাছে। তার পরে পরিস্থিতি বিচার করেই সিদ্ধান্ত নেবে সুপ্রিম কোর্ট।


আরও পড়ুন - মন্দির ভাঙা নিয়ে উত্তেজনা ছড়ালো রাজধানীতে, গ্রেফতার ভীম সেনা প্রধান আজাদ-সহ ৫০ জন


সিআরপিএফ-এর এক ডেপুটি কমান্ডান্টের বিরুদ্ধে চলা বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের মামলার শুনানিতে এমনটা জানায় শীর্ষ আদালত। আদালত জানায়, ৮-১০ বছর আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে অভিযোগকারিণীর সম্মতিতেই সহবাস হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রতারণার উদ্দেশ্যেই প্রতিশ্রুতি প্রদানের কোনও প্রমাণ অভিযোগকারিণী দিতে পারেননি। তাই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে নিরপরাধ গণ্য করে সুপ্রিম কোর্ট।