সন্ত্রাস অব্যাহত থাকায় পাক আমন্ত্রণে সাড়া দিলেন না পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং-ও

নিজস্ব প্রতিবেদন: বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের পর পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং জানিয়ে দিলেন, করতারপুর করিডরের ভিত্তি প্রস্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকছেন না তিনি। ঠাসা কর্মসূচীর কারণ দেখিয়ে আগেই না করেছিলেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। তবে, অমরিন্দর সিং বলেন, পঞ্জাবে ক্রমাগত পাক সন্ত্রাস হানা হচ্ছে। শহিদ হচ্ছেন জওয়ানরা। এর পর কোনওভাবেই সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চান না তিনি।

অমরিন্দরের ক্যাবিনেটের মন্ত্রী নভজ্যোত্ সিং সিধু কিন্তু পাকিস্তানে যাওয়ায় অবিচল। বুধবার তিনি সাফ জানিয়েছেন, ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে চাই। ইতিমধ্যে বিদেশমন্ত্রককে আবেদন জানিয়েছি। উল্লেখ্য, সুষমা স্বরাজের পাশাপাশি পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং এবং নভজ্যোত্ সিধুকে আমন্ত্রণ জানান পাক বিদেশমন্ত্রী কুরেশি। অমরিন্দর বলেন, এমনও একটা দিন যাইনি জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাস হানা চালিয়েছে পাকিস্তান। অন্য দিকে পঞ্জাবে অশান্তি পাকাতে ক্রমাগত চেষ্টা করে যাচ্ছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। এই প্রসঙ্গে গত সপ্তাহে অমৃতসরের জঙ্গি হানার উদাহরণ টেনে আনেন অমরিন্দর। পাশাপাশি তিনি বলেন, আশা করি পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তাঁর পরিস্থিতির কথা বুঝতে পারবেন। তিনি স্পষ্ট করেন, যত দিন পাকিস্তান শান্তির পথ বেছে নিচ্ছে, তাঁর এই অবস্থানে অনড় থাকবেন।

পাকিস্তানের করতারপুর করিডরের ভিত্তিস্থাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারছেন না বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। তাঁর পরিবর্তে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন মোদী সরকারের দুই মন্ত্রী হরসিমরত কাউর বাদল এবং হরদীপ সিং পুরী। ইসলামাবাদের আমন্ত্রণের জবাবে শনিবার এমনটাই জানায় বিদেশমন্ত্রক। আগামী ২৮ নভেম্বর গুরুদ্বার করতারপুর সাহিবের দর্শনের জন্য করিডরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হবে। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। 

উল্লেখ্য, পাকিস্তানের তরফেও সদর্থক বার্তা মিলেছে। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শপথগ্রহণের সময় সে দেশের সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজোয়া সিধুকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, করতারপুর করিডর খুলে দেওয়া নিয়ে ভাবনা চিন্তা করা হবে। পাক তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরি দাবি করেন, করতারপুর সীমান্ত খুলে দেওয়ার প্রস্তাব অনেক আগেই জানিয়েছিল পাকিস্তান। এখন ভারত সম্মতি জানাচ্ছে। আগামী বছর গুরু নানকের ৫৫০ তম জন্মবার্ষিকীতে উদ্বোধন হবে করতারপুর করিডর।