ওয়েব ডেস্ক: পঞ্চশীলে আস্থা রেখে মঙ্গলবার সহবস্থানে আসার কথা বলেছিলেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ভারতের তরফের শান্তি বজায় রেখে পারস্পরিক সহযোগীতার পথ ধরার ইঙ্গিতই প্রকাশ পেয়েছিল। তবে,  ডোক লায় এখনও মুখোমুখি দু'দেশের সেনা। ৩০০ মিটার দূরত্ব বজায় রেখে ভারত ও চিনের সেনা ঘাঁটি তৈরি করে অবস্থান করছে বলে খবর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যাচ্ছে, দুই দেশের সেনা প্রত্যেকে ১৫০ মিটার দূরত্বে বিতর্কিত সীমান্ত এলাকার উপর নজরদারি চালাচ্ছে।


আরও পড়ুন- সেনাপ্রধানের বক্তব্যে প্রশ্নের মুখে মোদীর চিন সফরের সাফল্য


উল্লেখ্য, ২৮ অগস্ট ডোক লা ইস্যু নিয়ে দু'দেশ যে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিল, তার প্রথম ধাপ ছিল ডোক লা থেকে সেনা প্রত্যাহার। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। তবে মনে করা হচ্ছে, পরিস্থিতি বিচার করে ধীরে ধীরে সেনা তুলে নেওয়া হবে। ভারত সরকার আশাবাদী, চিনের তরফ থেকেও এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ভারত আশা করছে, গত ১৬ জুনের আগে যে স্থিতাবস্থা জারি ছিল, পরিস্থিতি পুনরায় সেদিকেই যাবে। তবে, সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার নিয়ে তাদের অবস্থান এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট করেনি চিন।


প্রসঙ্গত, ব্রিকস সম্মেলনের আগে ডোক লা-র জটিলতা কাটাতে  ভারতের সঙ্গে সহমত হলেও পরে ভিন্ন সুর শোনা যায় বেজিং-এর বিভিন্ন মহল থেকে। চিনের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল, ডোক লায় তুষারপাতের কারণে সাময়িকভাবে সেখানে রাস্তা তৈরির কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। অর্থাত্, ইঙ্গিত ছিল চিনের নিজেদের দাবিতে অনড় অবস্থানের।


আরও পড়ুন- বিপিন রাওয়াতের 'জোড়া ‌যুদ্ধ'‍ মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া জানাল চিন


তবে, ডোক লা ইস্যু নিয়ে দু'দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে কতটা বরফ গলবে, তা চিনের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপরও অনেকাংশে নির্ভর করছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।  অক্টোবরেই শুরু হচ্ছে চিনা কমিউনিস্ট পার্টি কংগ্রেসের সম্মেলন। সেই বৈঠকে এবিষয়ে উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত বা নীতি গৃহীত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।