অসমকে বিদেশিমুক্ত করতে পারবে না এনআরসি, ক্ষুব্ধ রাজ্যের মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁসা দক্ষিণ সালমারা, ধুবড়ির মতো এলাকায় অনুপ্রবেশকারী লোকজনের বাদপড়ার হার সবচেয়ে কম
নিজস্ব প্রতিবেদন: অবশেষে অসমে প্রকাশিত হল নাগরিকপঞ্জীর চূড়ান্ত তালিকা। খসড়ায় বাদ পড়েছিলেন ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ। চূড়ান্ত তালিকায় তা কমে হয়েছে ১৯ লাখ। তবে রাজ্য থেকে বিদেশি নাগরিকদের তাড়ানোর ক্ষেত্রে এই তালিকা কোনও কাজ দেবে না বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
আরও পড়ুন-ঘরে ঢুকে কলেজ পড়ুয়াকে গুলি মালদায়, দাদাকে বাঁচাতে গিয়ে আহত ভাইও
বিশ্বশর্মা বলেন, ‘বর্তমানে যে নাগরিকপঞ্জী তৈরি হচ্ছে তাতে আমার কোনও আশা নেই। খসড়া তালিকা তৈরি হওয়ার সময় থেকেই তা বলছি। প্রকৃত নাগরিকরা বাদ পড়ছেন। তাহলে কীভাবে মেনে নেব এটি রাজ্যের মানুষদের ভালোর জন্য তৈরি হয়েছে?’
মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁসা দক্ষিণ সালমারা, ধুবড়ির মতো এলাকায় অনুপ্রবেশকারী লোকজনের বাদপড়ার হার সবচেয়ে কম। তার থেকে যেখানে যেসব জেলার প্রকৃত অসমিয়ারা বাস করেন সেখানে বাদ পড়ার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। কীভবে এটা হতে পারে? এনআরসি নিয়ে আমাদের কোনও মাথাব্যাথা নেই।
আরও পড়ুন-আলিপুর বডিগার্ড লাইনে ফের পুলিসকর্মীর 'রহস্যমৃত্যু', ঘর থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ
এদিকে, খসড়া তালিকায় ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ বাদ পড়ার পর চূড়ান্ত তালিকায় তা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখে। ফলে হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন বিপুল সংখ্যক মানুষ। তবে কেন্দ্রের ঘোষণা, যাদের নাম বাদ পড়েছে তাদের এখনই বিদেশি বলে ঘোষণা করা হবে না। তারা ১২০ দিনের মধ্যে ট্রাইবুন্যালে আবেদন করতে পারেন। বিশ্বশর্মা বলেন, এই এনআরসি অসমকে বিদেশিমুক্ত করতে পারবে না। এর জন্য নতুন পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এনআরসি নিয়ে প্রবল আপত্তি তুলেছিলেন রাজ্যের বিজেপি নেতারাই। কারণ তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন বহু হিন্দু। এনিয়ে তাঁরা রাজনাথ সিং ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার আহ্বান জানান।