নিজস্ব প্রতিবেদন- ২০১৫ সালে কেন্দ্রের সঙ্গে শান্তিচুক্তির পর অস্ত্রবিরতি পালন করেছিল বিচ্ছিন্নতাবাদী নাগা সংগঠন এনএসসিএন (NSCN-IM)। কিন্তু আবার তারা মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। পৃথক পতাকা ও সংবিধানের দাবি তুলছে এই সংগঠন। আর এই দুই দাবি পূরণ না হলে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনায় তারা আর রাজি নয় বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে। নাগাল্যান্ডের দিমাপুরের কাছে হেবরনের হেডকোয়ার্টারের NSCN-IM এর জয়েন্ট কাউন্সিল বৈঠকে এদিন সিদ্ধান্ত হয়, ২০১৫ সালে কেন্দ্র যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা এবার পালন করার জন্য জোর দেওয়া হবে। এনএসসিএন (আইএম) নেতা থুইঙ্গালাং মুইভার দাবি, পাঁচ বছর আগে কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের পৃথক পতাকা ও সংবিধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি এখনও পালন করেনি কেন্দ্র।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নাগাল্যান্ড, মণিপুর, অরুণাচল প্রদেশ, মিজোরাম, অসমের বিস্তীর্ণ অঞ্চল নাগা স্বাধীনভূমি বা ‘নাগালিম’ হিসাবে গড়ে তুলতে চায় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন NSCN. এই সংগঠন দুভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে। তবুও NSCN-IM এর সঙ্গে শান্তিচুক্তি করেছিল কেন্দ্র। তবে পৃথক পতাকা ও সংবিধানের দাবিতে সায় দিতে কোনওমতেই রাজি নয় কেন্দ্র। মোদী সরকারের সঙ্গে তাদের আলোচনা আটকে রয়েছে মূলত এই দুটি দাবির জন্য। ২০১৫ সালে শান্তি যুক্তির পর এই বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন অস্ত্রবিরতি পালন করেছিল। এর পরই উত্তর-পূর্ব ভারতে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তবে আরও একবার এই সংগঠনের দাবি কেন্দ্রের মাথা ব্যথার কার হয়ে উঠেছে। এই সংগঠনের সঙ্গে আলোচনার জন্য ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর ডিরেক্টর অরবিন্দ কুমারকে নিয়োগ করেছিল কেন্দ্র। কিন্তু লাভ হয়নি। NSCN-IM নিজেদের দুটি দাবিতে অনড়।


আরও পড়ুন-  ভুয়ো খবর ছড়িয়ে কৃষকদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে, কৃষি বিল-বিরোধীদের মোদী


লাদাখের পাশাপাশি অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তেও চিনা আগ্রাসন বেড়েছে। দিনকয়েক আগেই আরুণাচলের পাঁচজন যুবককে অপহরণ করেছিল চিনা সেনা। এছাড়া প্রায়দিনই অরুণাচল সীমান্তে চিনা সেনাদের উত্পাতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এরই মধ্যে উ্তর-পূর্ব ভারতে এই সংগঠনের মাথা চাড়া দিয়ে ওঠা অবশ্যই চিন্তার বিষয় কেন্দ্রের কাছে। NSCN-IM এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'নাগা ন্যাশনাল ফ্ল্যাগ এবং সংবিধানের দাবিতে আমরা অনড়। প্রতিশ্রুতি মতো এই দুটি দাবি মানা হলে তবেই ইন্দো-নাগা রাজনৈতিক আলোচনা সম্ভব। নাগা চুক্তিকে সম্মানজনক জায়গায় প্রতিষ্ঠা দিতে হবে এবার।'