নিজস্ব প্রতিবেদন:  কাশ্মীর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এবার বিশেষ বৈঠক ডাকল রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ করার পর আদৌ কি কোনও পরিস্তিতির পরিবর্তন হল? তা খতিয়ে দেখতেই এদিনের বিশেষ বৈঠক। চিন ও পাকিস্তানের অনুরোধেই এই বিশেষ বৈঠক ডাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।


রাষ্ট্রসঙ্ঘের সদস্য সব দেশকেই নোটিস পাঠানো হয়েছে। শুক্রবারই এই বৈঠক হতে পারে।  


এদিকে, গত ১৩ অগাস্ট সুপ্রিম কোর্টের রায়ে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে কেন্দ্র। গত  মঙ্গলবার জম্মু-কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, এখনই কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে কোনও হস্তক্ষেপ নয়। সরকারকে কিছুটা সময় দেওয়া প্রয়োজন বলে জানায় শীর্ষ আদালত।


এ দিন জম্মু-কাশ্মীরে কার্ফু, ১৪৪ ধারা, ইন্টেরনেট-ফোন পরিষেবা বন্ধ-সহ কেন্দ্রের একাধিক পদক্ষেপ দ্রুত তুলে নিতে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন সমাজকর্মী তেহসিন পুনাওয়ালা। তবে, এই মামলার দ্রুত রায় দিতে রাজি হয়নি বিচারপতি অরুণ মিশ্রের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ। ওই বেঞ্চ জানায়, “আমরাও চাই শান্তি ফিরে আসুক। কিন্তু রাতারাতি সম্ভব নয়। এখনও কেউ জানে না ওখানে কী চলছে? সরকারের উপর আস্থা রাখতে হবে। এটি স্পর্শকাতর বিষয়।”


স্বাধীনতা দিবসে নিয়ন্ত্রণ রেখায় গুলি চালাল পাকিস্তান, ভারতীয় সেনার পাল্টা জবাবে হত তিন পাক সেনা


সরকার পক্ষের আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপাল জানান, জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতির উপর সর্বক্ষণ নজর রাখছে সরকার। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই সরকার নিয়ন্ত্রণ তুলে নেবে। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বেণুগোপাল মনে করান কাশ্মীরে পুরনো অভিজ্ঞতার কথা। তিনি বলেন, “২০১৬ সালে বুরহান ওয়ানি-সহ ৩ জঙ্গির মৃত্যুর পর এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। রাস্তায় নেমে পড়ে মানুষ। বিক্ষোভের জেরে ৪০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কারোর মৃত্যু হয়নি।”