নিজস্ব প্রতিবেদন : ভাতের করোনা সংক্রমণের হার নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে যে পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে তা দেখে নিঃসন্দেহে চোখ কপালে ওঠার মত। পরিসংখ্যান বলছে, যদি করোনা আক্রান্তের হার বর্তমান গতি ধরে রাখে তাহলে লকডাউনের অন্তিম দিনে অর্থাৎ ১৪ এপ্রিলে ভারতে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ১৭,০০০-এ! উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪,৪২১ জন। মৃত্যু হয়েছে ১১৪ জনের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সমগ্র দেশের পরিসংখ্যান মূল্যায়ন করলে দেখা যাচ্ছে ১৫ মার্চ ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ৫ দিনের ব্যবধানে দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে সংখ্যাটা দ্বিগুণ হতে লেগেছিল মাত্র ৩ দিন। হঠাৎ সংক্রমণের ক্ষেত্রে তীব্র গতি ধারণ করে এই মারণ ভাইরাস। ২৩ মার্চ থেকে ২৯ মার্চ, মাত্র ৬ দিনে ফের দ্বিগুণ হয়ে যায় ভারতে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা। সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়ায় ১ হাজারের আশেপাশে।


তার ৪ দিনের মাথায় ২ এপ্রিল, সারা দেশে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়ে যায়। অর্থাৎ চারদিনে ফের দ্বিগুণ হয়ে যায় আক্রান্তের সংখ্যা। আজ ৭ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত ৪,৪২১ জন। অর্থাৎ আবারও ৪ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে দ্বিগুণ। স্বাস্থ্য মন্ত্রক বলছে, আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার সময়কাল ৪ দিন না হয়ে ৭ দিন হত। কিন্তু দিল্লির তাবলিঘি জামাতের জেরেই এই বেহাল দশা।


স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে আগেই জানানো হয়েছে যে সারা দেশের মোট সংক্রমণের ৩০ শতাংশের সঙ্গেই রয়েছে তাবলিঘি জামাতের যোগ। দেশবাসীকে বড় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন লকডাউনের ফলে কিছুটা হলেও কমেছে সংক্রমণের গতি। নাহলে আরও দ্রুত সংক্রামিত হতে পারত এই মারণ ভাইরাস।


আরও পড়ুন, লকডাউন : পর্যটক নেই, আয় নেই, খাবার নেই, চরম দুর্দশায় ৫-৫টি ঘোড়ার মৃত্যু ময়দানে