নিজস্ব প্রতিবেদন : লকডাউনের জেরে খাদ্যাভাব। আর তার জেরেই মৃত্যু হল ৫টি ঘোড়ার। হিমশিম অবস্থা সহিস ও ঘোড়ার মালিকদের। এই পরিস্থিতিতে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এল কলকাতা মাউন্টেড পুলিস।
2/11
খিদিরপুর হোস্টিংস ব্রিজের নীচেই মূলত ঘোড়াগুলির থাকার জায়গা। ১৫০টিরও বেশি ঘোড়া রয়েছে সেখানে। মালিকের সংখ্যা ৪০ থেকে ৫০ জন। তাঁদের অধীনে আবার কাজ করেন প্রায় ১০০ জন সহিস।
photos
TRENDING NOW
3/11
ময়দান ও ভিক্টোরিয়া চত্বরে যে পর্যটকরা ঘুরতে আসতেন, তাঁদেরকে ঘোড়ার পিঠে চড়িয়েই মূলত যা আয় হওয়ার হত। আর তা দিয়েই চলত দিন গুজরান।
4/11
ঘোড়াগুলির খাবারের ব্যবস্থাও করা হত এই উপার্জনের টাকা থেকেই। এছাড়া বিভিন্ন বিয়েবাড়িও ঘোড়ার গাড়িগুলি কাজে লাগানো হত।
5/11
কিন্তু লকডাউন হওয়ার পর থেকে সব ব্যবসাই বন্ধ। ব্রিজের নীচে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে গাড়িগুলি। সব থেকে খারাপ অবস্থা পোষ্য ঘোড়াগুলির।
6/11
খাবার জুটছে না । এছাড়া অসুখ-বিসুখ তো রয়েছেই। ঘোড়া মালিকরা বলছেন, এখনও পর্যন্ত ৫টি ঘোড়ার মৃত্যু হয়েছে।
7/11
শেখ ওয়াসিম নামে এক ঘোড়া মালিক জানান, এক-একটি ঘোড়ার প্রত্যেক দিন ১০ কেজি করে খাবার লাগে। খাবারে থাকে গমের ভুসি, কাটা খড়।
8/11
অপরদিকে, শেখ সাহিদ নামে আরেক সহিস জানান, লকডাউনের জেরে এখন মাঠে গিয়ে ঘাস কাটাও যাচ্ছে না। খাবারের অসুবিধা হচ্ছে ভীষণরকম।
9/11
এই পরিস্থিতিতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে কলকাতা মাউন্টেড পুলিশ। সহিস ও মালিকরা জানান, সোমবার মাউন্টেড পুলিশ অফিসাররা এসেছিলেন।
10/11
প্রত্যেক ঘোড়া পিছু ৫ কেজি করে ভুসি দিয়ে গিয়েছেন। একদিন ছাড়া ছাড়া ঘোড়াদের জন্য খাবার দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন অফিসাররা।
11/11
তাঁরা আরও জানিয়েছেন, সহৃদয় এক ব্যক্তিও ১ বস্তা খড় ও ২ বস্তা ভুসি দিয়েছেন। সবাই মিলে এগিয়ে এলে অবলা ঘোড়াগুলিকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো যাবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন মালিক ও সহিসরা।