নিজস্ব প্রতিবেদন : গতকাল ছিল ক্ষুদ্র-ছোটো-মাঝারি শিল্পকে চাঙ্গা করার দাওয়াই, আজ পরিযায়ী শ্রমিকদের ক্ষতে মলম দেওয়ার চেষ্টা! আগামী অগস্টেই কার্যকর করা হবে ‘এক দেশ, এক রেশন কার্ড’। বৃহস্পতিবার ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জল্পনা অনেক দিন ধরেই চলছিল, দেশজুড়ে এক রেশন কার্ড চালু করবে কেন্দ্র। গত ৩০ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, ভিন রাজ্যে আটকে থাকা শ্রমিকদের জন্য এই প্রকল্প চালু করতে হবে। এবার তাতেই আনুষ্ঠানিক সিলমোহর দিল কেন্দ্র। নির্মলা এদিন জানিয়েছেন, ‘এক দেশ, এক রেশন কার্ড’ কার্যকর করা হচ্ছে অগস্টের মধ্যে। এতে ২৩ টি রাজ্যের রেশন উপভোক্তাদের ৮৩ শতাংশ উপকৃত হবেন।


নির্মলার আরও ঘোষণা, সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের আগামী দু’মাস বিনামূল্যে খাদ্যশস্য সরবারহ করা হবে।  রেশন কার্ড নেই এমন পরিযায়ী শ্রমিকরাদের জন্য মাসে মাথা পিছু ৫ কেজি গম বা চাল এবং পরিবার পিছু এক কেজি ডাল দেওয়া হবে। তাঁরাও ২ মাস এই পরিষেবা পাবেন। ৮ কোটি পরিযায়ী শ্রমিক লাভবান হবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। এর জন্য খরচ হবে ৩৫০০ কোটি টাকা।


আরও পড়ুন- বলিউডে ফের করোনার থাবা, মডেল, অভিনেতা ফ্রেডি দারুওয়ালার বাবা করোনা আক্রান্ত


উল্লেখ্য, লকডাউনের জেরে শোচনীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ৪৫ কোটি পরিযায়ী শ্রমিকের। কাজ না থাকায় ভিন রাজ্যে আটকে পড়ে সঞ্চয় ফুরিয়েছে। এই সময় তাঁদের জন্য কেন রেশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে বারবার অভিযোগ জানিয়েছেন বিরোধীরা। উল্লেখ্য, নিজের রাজ্যের রেশন কার্ড অন্য রাজ্যের ব্যবহার না হওয়ায় আরও দুর্ভোগে পড়েছে পরিযায়ী শ্রমিকরা। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয় দ্রুত এক দেশ এক রেশন কার্ড প্রকল্প কার্যকর করার। 


এক নজরে নির্মলার কিছু ঘোষণা:


*** ৩ কোটি কৃষক ঋণ নিয়েছেন ৪.২২ লক্ষ কোটি টাকা। তাঁদের জন্য ইএমআই ছাড় দেওয়া হচ্ছে আগামী ৩ মাস।


*** শস্য ঋণের উপর বিশেষ ছাড় ঘোষণা এবং শোধ দেওয়ার মেয়াদ ১ মার্চ বাড়িয়ে ৩১ মে পর্যন্ত করা হয়েছে।


*** আরও ২৫ লক্ষ কিষাণ ক্রেডিট কার্ড চালু করা হচ্ছে। এর জন্য ২৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ বরাদ্দ করা হয়েছে।


*** গত দুমাসে ৬৩ লক্ষ কৃষিঋণ দেওয়া হয়েছে। যার মোট অঙ্ক ৮৬,৬০০ কোটি টাকা।


*** মার্চে কর্পোরেট এবং গ্রামীণ ব্যাঙ্কগুলিকে ২৯,৫০০ কোটি টাকা পুনর্বিনিয়োগ করেছে কৃষি এবং গ্রামীণ জাতীয় ব্যাঙ্ক (এনএবিএআরডি)।


*** মার্চে গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়নে রাজ্যগুলিকে ৪,২০০ কোটি টাকা সহয়তা করা হয়েছে।


*** পরিযায়ী শ্রমিকদের আশ্রয়, খাবার এবং পানীয় জলের ব্যবস্থার জন্য রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল (এসডিআরএফ) ব্যবহারে রাজ্যগুলিকে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র।


*** কেন্দ্র আরও ১১০০২ কোটি টাকা ত্রাণ সহায়তা দেবে রাজ্যগুলিকে।


*** লকডাউন চলাকালীন আশ্রয়হীনদের (শেল্টার্স ফর আরবান হোমলেস) ৩ বেলার খাবার ব্যবস্থা।


*** ৩ কোটি মাস্ক এবং ১.২০ লক্ষ লিটার স্যানেটাইজার তৈরি করেছে ১২ হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠী। কর্মসংস্থানের বিকল্প পথ খুলে গেছে।