নিজস্ব প্রতিবেদন : কাজের লোক বলেই তাঁর পরিচিতি ছিল সহকর্মীদের কাছে। ডিউটি আওয়ার্সে কোনও রমক ফাঁকি বরদাস্ত করতেন না। পেশাদারিত্ব কাকে বলে সেটাই যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে গেলেন সি এন রাও। ওএনজিসির জেনারেল ম্যানেজার (প্রেডাকশন) রাও নিজের জীবন দিয়ে সহকর্মীদের বাঁচিয়ে গেলেন। সেইসঙ্গে তাঁর বলিদানের জন্য বড়সড় বিপর্যয়ের হাত থেকেও রক্ষা পেল প্লান্ট। সি এন রাও চলে গেলেন। মঙ্গলবার সাত সকালে নভি মুম্বইয়ের ওএনজিসি-র প্ল্যান্টে বিধ্বংসী আগুন লাগে। সকাল সাতটা নাগাদ আগুন লেগেছিল। পর পর বিস্ফোরণে আগুন দ্রুত ছড়াতে থাকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  ট্রাফিক আইন ভাঙায় নিজের স্কুটির দামের চেয়েও বেশি টাকা জরিমানা দিলেন দিল্লির যুবক!



গ্যাসের গন্ধ ছড়াতে শুরু করার পরই ততপ্র হয়ে ওঠেন রাও। এর পরই তিনি লিকেজ-এর উত্স খুঁজতে শুরু করেন। মূল গ্যাস পাইপ লাইনের যেখান থেকে লিকেজ হচ্ছিল সেখানে পৌঁছে যান রাও। ভালভ বন্ধ করে দেন। এর পর আরও লিকেজ রয়েছে কি না তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেন তিনি। সেই সময়ই ভয়ানক এক বিস্ফোরণে প্রাণ হারান ম্যানেজার রাও। তিনি লিকেজ-এর উত্স খুঁজে ভালভ বন্ধ না করতে পারলে আরও ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটতে পারত বলে জানিয়েছেন রাও-এর সহকর্মীরা। রাওয়ের এভাবে চলে যাওয়া যেন তাঁরা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না।


আরও পড়ুন-  বাইকে চড়ে ছিনতাইয়ের চেষ্টা! ছিনতাইবাজকে টেনে নামিয়ে পেটালেন মা-মেয়ে!


বিই মেকানিক্যালের ডিগ্রি অর্জন করে ১৯৯০ সালে ওএনজিসিতে যোগ দিয়েছিলেন রাও। বছর দুয়েক আগে বদলি হয়ে এসেছিলেন নভি মুম্বইয়ের উড়ান প্ল্যান্টে। তাঁর স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছেন। বছর পঞ্চাশের রাওয়ের দেহ ঝলসে গিয়েছে আগুনে। হাসপাতালে তাঁর দেহ শনাক্ত করতেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল আত্মীয়-পরিজনদের। রাওয়ের এমন মৃত্যুতে শোকাহত তাঁর পরিবার। তবে সহকর্মীরা রাওকে কুর্ণিশ জানাতে ভুলছেন না।