নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে। তত আরও বেশি করে সামনে আসছে চৌকিদার ও চোর বিতর্ক। এতদিন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর মুখে বারবার শোনা যাচ্ছিল এই দু'টি শব্দ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বিঁধতে রাহুল গান্ধী আওয়াজ তুলেছেন, ''চৌকিদার চোর হ্যায়।''


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: ‘উপ-প্রধানমন্ত্রী করা হোক গডকরীকে, দলের সভাপতি হোন শিবরাজ সিং’, দাবি বরিষ্ঠ বিজেপি নেতার


শনিবার ওড়িশার বারিপদায় এক জনসভায় রাহুল গান্ধীকে পালটা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বললেন, ''একমাত্র চোরই চায় চৌকিদারকে তাড়াতে।'' কারখানা হোক বা সমাজ, সর্বত্রই এই নিয়ম চলছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।


তিনি বলেন, ''যতক্ষণ চৌকিদার রয়েছে, তখন চোর তার কাজ করতে চায় না। তাই চোর তার কাজ সহজে করতে সবসময় চৌকিদারকে তাড়ানোর ষড়যন্ত্র করে।''


আরও পড়ুন: রাফালেই মোদীকে আবার ক্ষমতায় ফেরাবে, সংসদে আত্মবিশ্বাসী নির্মলা


রাহুল গান্ধী রাফালে নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। যুদ্ধবিমান কেনার এই চুক্তি করার সময় মোদী দুর্নীতি করেছেন, এই অভিযোগে সরব হয়েছেন রাহুল। সেই প্রসঙ্গে সরাসরি না হলেও পালটা অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।


তাঁর দাবি, ''২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দেশের সেনাবাহিনীকে দুর্বল করে দেওয়ার প্রচেষ্টা হয়েছে বারবার। আমাদের সরকার সেই অবস্থা থেকে সেনাকে বের করার চেষ্টা করছে। মানুষ এখন সব দেখতে পাচ্ছে। বুঝতেও পারছে।''


আরও পড়ুন: এনআরসিতে বাদ পড়বেন না কোনও ভারতীয়, শিলচরে আশ্বাস মোদীর


রাফালের পালটা কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অগাস্টা ওয়েস্টল্যান্ড চপার কেলেঙ্কারি নিয়ে পথে নেমেছে বিজেপি। এদিন সেই প্রসঙ্গও উঠে আসে প্রধানমন্ত্রী মোদীর মুখে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ইউপিএ আমলে সরকারের রাশ কার হাতে ছিল তা নিয়ে। কংগ্রেস সরকার চালাচ্ছিল নাকি ক্রিস্টিয়ান মিশেল, সেই প্রশ্ন তিনি ছুঁড়ে দেন কংগ্রেসের উদ্দেশ্যে।


তাঁর দাবি, মিশেলের সঙ্গে কংগ্রেসের নেতা ও মন্ত্রীদের যোগাযোগ অনেক বেশি ছিল। তাই মোদীর কটাক্ষ, ''হয়তো প্রধানমন্ত্রীর (মনমোহন সিং) থেকেও বেশি জানতেন মিশেল।''


আরও পড়ুন: দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করতে কংগ্রেসের চোখে কুম্ভীরাশ্রু, অভিযোগ নির্মলা সীতারমণের


এরপরই মোদীর হুঁশিয়ারি, ''আমি একটা কথা স্পষ্ট করে বলতে চাই যে যাঁরা দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে মধ্যস্থতাকারীদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন, তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হবে না। দেশের তদন্তকারী সংস্থা ও দেশের মানুষ তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন। দেশেরে সুরক্ষার প্রশ্নে কেন্দ্র সবসময় কড়া সিদ্ধান্ত নেয়।''