২০১৯-এর আগে বিরোধীরা নোট বাতিল ইস্যুকে সামনে রেখে একজোট হওয়ার চেষ্টায় মরিয়া
সামনে নোট, পিছনে জোট। রাতারাতি পাঁচশো-হাজার বাতিলে মানুষের দুর্ভোগের প্রতিবাদে এককাট্টা বিরোধীরা। বছর ঘুরলেই পাঁচ রাজ্যে ভোট। তারপর ২০১৯। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সে দিকে তাকিয়ে নোট ইস্যুর নামে বিজেপি বিরোধী দলগুলি আসলে কাছাকাছি আসার চেষ্টা করছে। সকলেই বুঝে নিতে চাইছে কীসে লাভ কীসে ক্ষতি।
ওয়েব ডেস্ক : সামনে নোট, পিছনে জোট। রাতারাতি পাঁচশো-হাজার বাতিলে মানুষের দুর্ভোগের প্রতিবাদে এককাট্টা বিরোধীরা। বছর ঘুরলেই পাঁচ রাজ্যে ভোট। তারপর ২০১৯। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সে দিকে তাকিয়ে নোট ইস্যুর নামে বিজেপি বিরোধী দলগুলি আসলে কাছাকাছি আসার চেষ্টা করছে। সকলেই বুঝে নিতে চাইছে কীসে লাভ কীসে ক্ষতি।
সংসদে গান্ধী মূর্তির সামনে প্রতিবাদ। এক সারিতে সিপিএম-তৃণমূল,সপা-বসপা, ডিএমকে-এডিএমকে। যন্তর-মন্তরে তৃণমূলের ধরনা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে শরদ যাদব। ধরনা মঞ্চে সমাজবাদী পার্টি, আপ, এনসিপি। মোদী বিরোধিতায় এক ছাতার নীচে সকলে। লোহা গরম। এখনই ঘা দেওয়ার সুযোগ ছাড়তে রাজি নয় বিরোধীরা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নোট-বিতর্ক উপলক্ষ্য মাত্র। লক্ষ্যটা হল, ২০১৯-এর আগে কে কোনদিকে তার একটা আগাম হিসাব কষে নেওয়া। আর এই হিসাব কষতে মাঠে নেমেছে বিজেপি বাদে সব দলই।
আরও পড়ুন- দিল্লিতে সেকেন্ড ইনিংসে মোদীকে অল আউট আক্রমণ মমতার
NDA হোক বা বিরোধী জোট - ADMK কোনওটিতেই নেই। কিন্তু DMK-র পাশেই সংসদে ধর্নায় সামিল তারা। নোট বাতিল ইস্যুতে মানুষের দুর্ভোগ নিয়ে একসুর মুলায়ম-মায়াবতী। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগছেন শরদ যাদব। নীতীশ কুমার বলছেন, বাঘের পিঠে সওয়ার হওয়ার সাহস দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। নোট ইস্যুতে মমতার পাশে। কিন্তু শিবসেনায় আপত্তি কেজরিওয়ালের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ভবনে গেলেও বিজেপির চাপে সংসদে ধর্নায় সামিল হল না শিবসেনা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশে লাগাম নেই তাদের। রাজনৈতিক মহল বলছে, নোট ইস্যুতে বিরোধী মঞ্চে এত যে সমীকরণ উঁকি দিতে শুরু করেছে তার গোড়াটা আসলে তৈরি করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মোদী বিরোধী আন্দোলনে প্রথম দফার দিল্লি সফর সে ভাবে দাগ কাটতে না পারায় এ বার আরও আটঘাট বেঁধে নেমেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেস-সহ সব বিরোধী দলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন তিনি। যন্তর-মন্তরের ধরনা মঞ্চই তার প্রমাণ। বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে জানিয়েছেন, নোট বিতর্কে বিরোধীদের আন্দোলনে যে কেউ নেতৃত্ব দিন, তাঁর আপত্তি নেই। তবে পরিস্থিতি এখন যা তাতে ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসাবে খেলা শুরু করার পর লম্বা লড়াইয়ে নেতৃত্বের ব্যাটনও তাঁরই হাতে। ২০১৯-এর আগে বিজেপি বিরোধী রাজনীতির সলতেয় আগুন লাগানোর কাজটা এখন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরেই।