নিজস্ব প্রতিবেদন: সিবিআই ডিরেক্টরকে ছুটিতে পাঠানোয় মোদী সরকারকে রীতিমতো কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন বিরোধীরা। ভোর রাতের এই সিদ্ধান্তে তুমুল জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল তো প্রশ্ন করেই ফেললেন, অলোক বর্মাকে অপসারণের পিছনে রাফাল দুর্নীতির যোগ নেই তো! সিবিআইয়ে নাম পাল্টে বিজপি ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (বিবিবি) নামে কটাক্ষ করলেন তৃণমলূ সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর কংগ্রেসের দাবি, সিবিআইয়ের স্বাধীনতার সমাধিতে পরিণত করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- CBI-এর অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্বে নাগেশ্বর রাও, ছুটিতে পাঠানো হল ভার্মা-আস্থানাকে




ভোটের আগে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ঘুষ কাণ্ডের তদন্ত করতে গিয়ে নিজের জালেই যে ভাবে জড়িয়েছে, এখানে কেন্দ্রের ব্যর্থতা দেখছেন বিরোধীরা। আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরীবাল টুইট করে প্রশ্ন তোলেন, সিবিআই ডিরেক্টরকে ছুটিতে পাঠানোর কারণ কী? লোকপাল আইন অনুযায়ী গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানের অপসারণ কোন আইনে করলেন প্রধানমন্ত্রী? কী লুকাতে চাইছেন তিনি? ফের আরও একটি টুইট করে প্রশ্নবাণ ছোড়েন কেজরীবাল। বলেন, অলোক বর্মার অপসারণের সঙ্গে রাফাল তদন্তের কোনও যোগ রয়েছে? অলোক বর্মা কি রাফাল তদন্ত শুরু করেছিলেন, যা মোদীজিকে সমস্যায় ফেলছে।



 



আরও পড়ুন- সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ অলোক বর্মা, এ বার সিবিআইয়ের তদন্তে 'তদারকি' করবে ভিজিল্যান্স কমিশন


তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোটো টুইট, সিবিআই তৈরি হয়েছে বিবিআই-তে (বিজেপি ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন)। সত্যিই দুর্ভাগ্যের। সিপিআইএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি দাবি করেন, অন্যায়ভাবে অলোক বর্মাকে অপসারণ করেছে মোদী সরকার। যে অফিসারের বিরুদ্ধে গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে, তাঁকে আড়াল করা হচ্ছে। ইয়েচুরির দাবি, এই তদন্তে বিজেপির রাঘব বোয়াল নেতারা জড়িত রয়েছেন বলে, অলোক বর্মাকে সরানো হল। নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহকে নিশানা করে তীব্র সমালোচনা করেন কংগ্রেস নেতারাও। সিবিআইয়ের তদন্তে প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করতে পারেন না বলে অভিযোগ করেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা অভিষেক সিংভি।