IMF এবং গোপীনাথের উপর আক্রমণ শুরু হলো বলে, পূর্বাভাস দিলেন চিদম্বরমও
ভারতের বৃদ্ধির হারে ধাক্কা লাগলে, তার প্রভাব বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রত্যক্ষ ভাবে পড়বে মেনে নিচ্ছেন আইএমএফ- প্রধান অর্থনীতিবিদ গীতা গোপিনাথ। তাঁর কথায়, ভারতের অর্থনীতির বৃদ্ধির পূর্বাভাস পরিমার্জনের পাশাপাশি বিশ্বের অর্থনীতির বৃদ্ধিও ২.৯ শতাংশ কমানো হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রস্তুত হও। আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার (IMF) এবং সংস্থার প্রধান অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথের উপর আক্রমণ শুরু হল বলে...ভারতের জিডিপির পূর্বাভাস আইএমএফ পাঁচের নীচে দেওয়ায় কেন্দ্রকে এভাবেই কটাক্ষ করলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি দেশে সাধরাণ বাজেট। তার আগে আইএমএফ-এর জিডিপির পূর্বাভাস যথেষ্ট অস্বস্তিতে ফেলেছে মোদী সরকারকে।
কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম একের পর এক টুইট করে বলেন, চলতি অর্থবর্ষে আইএমএফ-এর পাঁচের নীচে জিডিপির পূর্বাভাস বাস্তবসম্মত। এর থেকে নীচে নামলেও অবাক হব না। তবে, আইএমএফ এবং গোপীনাথকে নিশানা করে আক্রমণ করতে পারে বিজেপি নেতারা, এই আশঙ্কা করছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। এর আগে আইএমএফ ভারতের জিডিপির পূর্বাভাস দিয়েছিল ৬.১ শতাংশ। কিন্তু এক ধাক্কায় তিন মাসে ১.৩ শতাংশ কমিয়ে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করায় বিরোধীদের অনেকটাই অক্সিজেন জোগালো বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। চলতি বছরে ভারতের অর্থনীতি বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে ৪.৮ শতাংশ।
ভারতের বৃদ্ধির হারে ধাক্কা লাগলে, তার প্রভাব বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রত্যক্ষ ভাবে পড়বে মেনে নিচ্ছেন আইএমএফ- প্রধান অর্থনীতিবিদ গীতা গোপিনাথ। তাঁর কথায়, ভারতের অর্থনীতির বৃদ্ধির পূর্বাভাস পরিমার্জনের পাশাপাশি বিশ্বের অর্থনীতির বৃদ্ধিও ২.৯ শতাংশ কমানো হয়েছে। এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী করা হয়েছে ভারতে উল্লেখযোগ্যভাবে চাহিদা কমে যাওয়া, ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির নগদ সঙ্কট এবং ঋণের পাহাড়।
আরও পড়ুন- আসন বণ্টন- সিএএ নিয়ে বিরোধ, দিল্লি নির্বাচনে এনডিএর সঙ্গে লড়াইয়ে নেই অকালি দল
চলতি অর্থবর্ষে প্রত্যেক ত্রৈমাসিকে জিডিপির বৃদ্ধি অধোগতি হয়েছে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের দাওয়াই অব্যাহত থাকলেও, সেই ফল দেখা যায়নি। উপরন্তু জিডিপি বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ৫ শতাংশে নিয়ে আসা হয়েছে। গত অর্থবর্ষে যেখানে জিডিপি ছিল ৬.৮ শতাংশ। তবে, এই পরিস্থিতিকে মন্দা বলতে নারাজ মোদী সরকার। বিশ্বে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক অস্থিরতার জেরেই প্রায় সব দেশেই একই হাল। ভারত তার বাইরে নয় বলে দাবি শাসক দলের।