নিজস্ব প্রতিবেদন: এয়ারসেল-অ্যাক্সিস মামলায় আংশিক স্বস্তি প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম ও তাঁর পুত্র কার্তির। এ দিন ওই মামলায় গ্রেফতারি থেকে তাঁদের রক্ষাকবচ দেয় দিল্লির বিশেষ আদালত। ২০০৬ সালে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার এয়ারসেল-ম্যাক্সিস চুক্তির মধ্যে ৮০ কোটি ডলার বিদেশি লগ্নি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন কমিটির বদলে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল তত্কালীন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরমের মন্ত্রক। যা বেআইনি বলে দাবি করে সিবিআই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


তবে, এই মামলায় এক লক্ষ টাকার বন্ডে পি চিদাম্বরম ও কার্তিকে আগাম জামিনের নির্দেশ দেয়। এই রায় পেয়ে কার্তি টুইটে লেখেন, ‘আংশিক জয় হল আমাদের।’ সকালে আইএনএক্স মামলায় সুপ্রিম কোর্টে বড়সড় ধাক্কা খান পি চিদাম্বরম। ইডির গ্রেফতার থেকে বাঁচতে তাঁর আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, পি চিদাম্বরমকে জামিন দিলে তদন্তে ক্ষতি হতে পারে । এই মামলায় তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা তদন্তের ক্ষেত্রে উপযুক্ত নয় বলে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন বিচারপতিরা।


আরও পড়ুন- সিপিআইএম নেতা তারিগামিকে দিল্লি এইমস-এ স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট


এর ফলে পি চিদাম্বরমকে ইডির হেফাজতে নেওয়ার সম্ভাবনা আরও প্রবল হল। ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের হেফাজতে ১৫ দিন কাটিয়ে ফেলেছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। সিবিআই হেফাজতে না নিলে জেলে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল চিদাম্বরমের। সুপ্রিম কোর্টে তাঁর আইনজীবী কপিল সিব্বল তাঁর বয়সের কথা উল্লেখ করে আবেদন করেছিলেন, তাঁকে যেন তিহাড় জেলে না পাঠানো হয়। সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে রায় সংরক্ষণ করে জানিয়ে দেয় নিম্ন আদালতে জামিনের আবেদন করতে।


তবে, সুপ্রিম কোর্ট জানায়, পি চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ প্রমাণ করতে তদন্তকারীদের যথেষ্ট স্বাধীনতা দেওয়া উচিত। তাই এই মুহূর্তে তাঁর জামিন মঞ্জুর তদন্তে ক্ষতি হতে পারে। উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে আইএনএক্স সংস্থাকে ৩০৫ কোটি বিদেশি লগ্নি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পি চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে। সে সময় তিনি ছিলেন মনমোহন সরকারের অর্থমন্ত্রী এবং ফরেন ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন বোর্ড (এফআইপিবি)-র চেয়ারম্যান। অভিযোগ, ওই পদের প্রভাব খাটিয়ে মোটা অঙ্কের বিদেশি লগ্নি পাইয়ে দেন পিটার এবং ইন্দ্রাণী মুখার্জির সংস্থা এআইএক্স-কে। এর পরিবর্তে তাঁর ছেলে কার্তি চিদাম্বরমের সংস্থা বড় রকমের ঘুষ পায় বলে অভিযোগ।