নিজস্ব প্রতিবেদন: 'গোলমাল' দেখেছেন! উত্পল দত্ত ও অমল পালেকরের মধ্যে গোঁফ নিয়ে কী ধন্ধুমারই না বেঁধেছিল! শুধু পর্দার ভবানীশঙ্কর নন, বাস্তবেও এমন অনেকে আছেন, যাঁদের গোঁফ নিয়ে মারাত্মক 'অবশেসন' থাকে। যাঁরা মনে করেন, ''মুছ মর্দো কি শান।''


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: ‘স্পিকার হিন্দু বিরোধী’, শপথ নিলেন না তেলেঙ্গানার একমাত্র বিজেপি বিধায়ক


আর কথাটাই অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে বদ্ধপরিকর উত্তরপ্রদেশ প্রভিন্সিয়াল আর্মস কনস্টাবুলারি (PAC)। তারা মনে করে, শক্তিশালী গোঁফই বৃদ্ধি করে বাহিনীর সম্মান। অন্য বাহিনীর থেকেও আলাদা করে চেনায়।


তাই ওই বাহিনীর পক্ষ থেকে আধিকারিকদের গোঁফের যত্ন নেওয়ার ভাতা বাড়িয়ে দেওয়া হল প্রায় ৪০০ শতাংশ। আগে দেওয়া হত মাসে ৫০ টাকা। আর এখন থেকে আধিকারিকরা এর জন্য পাবেন ২৫০ টাকা। আর এই ভাতা বাহিনীর ৩৩টি ব্যাটেলিয়নকেও দেওয়া হবে। তবে অবশ্যই গোঁফ থাকতে হবে। না হলে দেওয়া হবে না এই ভাতা।


আরও পড়ুন: ‘সব থেকে বড় দুর্গা’, লিমকা বুক অব রেকর্ডস-এ নাম তুললেন নুরুদ্দিন আহমেদ


জানুয়ারির ১১ তারিখ বিনোদকুমার সিং নামে নতুন এক অফিসার ওই বাহিনীর এডিজির দায়িত্ব নিয়েছেন। তার পরই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁর কথায়, প্রয়াগরাজের কুম্ভমেলায় তিনি ওই বাহিনীর চার-পাঁচজন আধিকারিককে দেখেন, যাঁদের নজরকাড়া গোঁফ রয়েছে।


এর পরই বিনোদকুমারের মনে হয়, সকলেই যদি গোঁফের পরিচর্যা করেন, তাহলে এই বাহিনীকে রাজ্যের অন্য বাহিনীগুলি থেকে একেবারে অন্যভাবে চেনা যাবে। তাই তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন বলে জানা গিয়েছে। একই সঙ্গে গোটা বিষয়টি যে পুলিশ আধিকারিকদের ব্যক্তিগত পছন্দের। কাউকে এ নিয়ে জোর করা হবে না, এই বিষয়টিও স্পষ্ট করেছেন তিনি।


আরও পড়ুন: আঞ্চলিক নয়; মমতা এখন সর্বভারতীয় নেত্রী, ব্রিগেড সমাবেশের আগে মন্তব্য শত্রুঘ্নর


তবে শুধু গোঁফ নয়, তাঁর বাহিনীর সদস্যের শারীরিক সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়টি নিয়েও তিনি চিন্তিত। বাহিনীকে ফিট করে তুলতেও তিনি পদক্ষেপ করবেন বলে জানা গিয়েছে।


তবে বিনোদকুমার সিংয়ের এই উদ্যোগকে অনেক অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিকই স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, একটা সময় গোঁফ রাখাটা পুলিশ কর্মী-আধিকারিকদের অগ্রাধিকার ছিল। কিন্তু এখন সেই ট্রেন্ড উধাও হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ। এবার সেটা ফিরবে বলে তাঁদের আশা।